বৈধ সার্টিফিকেট পেতে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ দাবি করে কলকাতায় এসেছিলেন মালদার গনি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ছাত্রছাত্রীরা। প্রায় মাসখানেক ধরে কলকাতার ফুটপাথে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অবশেষে গত বুধবার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, প্রথম স্তরের সার্টিফিকেশন কোর্সকে ১০+২ (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা কোর্সকে তিন বছরের এবং বি টেককে চার বছরের সমতুল্য মান্যতা দিতে হবে এবং এই নিরিখেই বৈধ সার্টিফিকেটও দিতে হবে ২০১৫-তে পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও দেখা করেন GKCIET-র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। তিনি ছাত্রদের জানান, ওই গ্যাজেট নোটিফিকেশন বৈধ।
আরও পড়ুন: নড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার, GKCIET ইস্যুতে বিজ্ঞপ্তি জারি মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের
এত কিছুর পরও মালদার GKCIET-র আন্দোলন কেন বহাল রইল, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে ছাত্রদের দাবি, কোর্সের ভিত্তিতে সমতুল্য সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানানো হলেও, সেই সার্টিফেকেট কবে, কোথায়, কীভাবে মিলবে তা সঠিকভাবে জানানো হয়নি। পাশাপাশি, কে দেবে এই সার্টিফিকেট, তাও জানেন না ছাত্রছাত্রীরা। এমনকী নির্দিষ্ট কোনও তারিখও জানাতে পারেননি রাজ্যপাল স্বয়ং। এ ছাড়াও পুরোনো ছাত্রদের নতুন করে বি-টেকে ভর্তির কোনও উল্লেখ ওই গেজেটে নেই বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। কাজেই গনি খানের নামাঙ্কিত কলেজের ছাত্রছাত্রীরা স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, তাঁদের সমস্ত দাবি মেনে লিখিত তারিখ পেলে তবেই এই আন্দোলন উঠবে।
ছাত্রদের অভিযোগ মূলত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই। তাঁরা জানিয়েছেন, এর আগেও একাধিকবার প্রতিশ্রুতি পেয়েও কোনও সমাধান মেলেনি শেষ অবধি। তাই যতক্ষণ না কলেজ কর্তৃপক্ষ সব দাবি মানছেন, ততক্ষণ GKCIET-র অচলাবস্থা চলবে। এই দাবির সমর্থনে গত ৬ সেপ্টেম্বর অ্যাকাডেমি চত্বরে জমায়েত হয়ে রাজভবন পর্যন্ত একটি মিছিল করেন তাঁরা।