এমবিবিএস কোর্স শুরু করা হবে হিন্দি ভাষায়। ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধান সিং রাওয়াত। রাজ্যে হিন্দিভাষী এবং হিন্দি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছে অনেক পড়ুয়া, তাদের স্বার্থেই এবার রাজ্যের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে অনেকেরই অসুবিধা হয়। হিন্দি ভাষায় MBBS শুরুর সাপেক্ষেই দিল্লি মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য অরুণ কুমার গুপ্ত বলেন, "সমস্ত সিলেবাস এবং ভোকাবুলারি MBBS এর ক্ষেত্রে ইংরেজিতে লেখা। যদিও বা আয়ুর্বেদ ভারতের শব্দ ভান্ডারকে অনুসরণ করেই চলে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও ইংরেজি মাধ্যমেই পড়ুয়াদের পড়শোনা করতে হয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, চিকিৎসা শাস্ত্র এবং সেই সংক্রান্ত, সমস্ত বই ইংরেজিতে লেখা। পাশ্চাত্য ইংরেজি ভাষার প্রয়োগও রয়েছে কিছু বইতে। শিক্ষার মাধ্যম হিন্দিতে শুরু করা গেলেও পাঠ্যক্রম কিংবা বইয়ের শব্দভাণ্ডার বদল করা একেবারেই সম্ভব নয়"।
তাঁর বক্তব্য, বইগুলি তাও বদল করা সম্ভব। তবে চিকিৎসা সম্পর্কিত সমস্ত গবেষণাপত্র ইংরেজিতে প্রকাশ করা হয় এবং সেটাই নিয়ম। এর আগেও মধ্যপ্রদেশ সরকার রাজ্যে হিন্দি ভাষায় মেডিক্যাল শিক্ষার চেষ্টা করলেও NMC এর তরফে সেই কাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। চিকিৎসা বিদ্যায় ইংরেজি ভাষা ছাড়া আর কোনও শব্দ প্রযোজ্য নয় বলেই জানিয়েছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন।
এপ্রসঙ্গে শিক্ষকদের অনেকেই বিরোধিতা করেছেন। প্রফেসর অমিত গুপ্তা বলেন, "শিক্ষকদের পক্ষে হিন্দি ভাষায় মেডিক্যাল কলেজে পড়ানো অসম্ভব। আমরাও যখন পড়াশোনা করেছি তখন ইংরেজি ভাষাতেই ক্লাস করেছি। এমন কিছু কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলি হিন্দিতে উচ্চারণ এবং এর অর্থ সবকিছু আলাদা। শিক্ষকদেরকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর ট্রেনিং দেওয়া হয়, সমস্ত বিষয়টি সমস্যার"। শুধু তাই নয়, ছাত্রদের অসুবিধার কথাও জানালেন। তার বক্তব্য, "দক্ষিণের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে হিন্দি ভাষায় এতটা দক্ষতা নেই। তারা কী করবে? আর মেডিক্যাল পড়ুয়ারা এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পড়াশোনার খাতিরে পাড়ি দেয়, তাই হঠাৎ করেই এসব সিদ্ধান্ত ঠিক নয়"।