শনিবার অনশনকারী দেবাশিস বর্মণকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধ্য হন তাঁর সহপাঠী সহ অন্য আন্দোলনকারীরা। গত কয়েকদিন ধরেই বেশ অসুস্থ ছিলেন দেবাশিস। শনিবার হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তবে চিকিৎসায় রাজি হলেও খাদ্যগ্রহণে নারাজ দেবাশিস। অন্যদিকে অনিকেতের শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়। তবে এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় এই আন্দোলনকারীরা।
এদিকে সদুত্তরের যে আশা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা করেছিলেন তা পূরণ হল না অনশনের ১৩ দিনের মাথাতেও। শনিবার ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশনের সঙ্গে বৈঠকের পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পারলেন না তাঁরা। যদিও ক্ষীণ আশার আলো পাওয়া গিয়েছে ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশনের তরফে। এদিন বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, প্রথম বর্ষের পাশাপাশি অন্য ছাত্রদের জন্যও নতুন বিল্ডিংয়ের দুটি তলা স্থায়ীভাবে এবং একটি তলা অস্থায়ীভাবে দেওয়া হবে তাঁদের। পাশাপাশি ছাত্রদের দাবি মেনে একটি স্বচ্ছ হস্টেল কাউন্সেলিংও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, কেমনভাবে থাকেন মেডিক্যাল কলেজে হবু ডাক্তাররা? এভাবেও থাকা যায়?
শনিবার নতুন অধ্যক্ষ অশোক ভদ্র এবং আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে ডিএমই-র নির্দেশে, হস্টেলগুলি ঘুরে দেখেন সুপাররা। এই মুহূর্তে সব হস্টেল মিলিয়ে কতগুলি শয্যা আছে এবং মোট ছাত্রসংখ্যা কত– এই সমস্ত অনুপাত খতিয়ে দেখেন তাঁরা। আন্দোলনকারী ছাত্র সাগিরের কথায়, এতদিন যে "হায়ার অথারিটি"র দোহাই দেওয়া হচ্ছিল আজ তা স্পষ্ট করেছেন কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তবে তাঁর কাছে বিষয়টি শুরুতেই পৌঁছাবে না। প্রথমে প্রস্তাব যাবে স্বাস্থ্যসচিব অনিল বর্মার কাছে, তাঁর সম্মতি মিললে তা পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি আবেদন মঞ্জুর করলে, তবেই হস্টেল পাবেন ছাত্ররা! এ ক্ষেত্রে লিখিত কোনও সুরাহা না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলেই জানিয়েছেন অনশনকারীরা।
মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে আরও পড়ুন, সামান্য দাবি
কেউ কেউ মনে করেছিলেন একুশে জুলাই মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে হয়তো ইতিবাচক কোনও কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনটা ঘটেনি। এদিকে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে অনশনকারীদের চিকিৎসাগ্রহণের জন্য লিখিত অনুরোধ জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ অশোক ভদ্র।
আজ রবিবার, বেলা তিনটের সময়ে মেডিক্যাল কলেজের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের সামনে একটি গণ কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।