মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অশোক ভদ্রের জায়গায় ফের ফিরলেন উচ্ছল কুমার ভদ্র। ছাত্রদের সাম্প্রতিক হস্টেলের সমস্যার সমাধান করেও কেন পদ ছাড়তে হল অশোকবাবুকে, এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
শুক্রবারই ফের কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারের দায়িত্ব নেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ অশোক ভদ্র। এরপর একাধিক মিটিং-এ তড়িঘড়ি ছাত্রদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করেন মাত্র দু'দিনেই। সোমবার কলেজ কাউন্সিল মিটিং-এর পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন অশোকবাবু ঘোষণা করেন, "নতুন ভবনের দু’টি তলায় সিনিয়র ছাত্রদের রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে নেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন মিলবে নতুন হস্টেল, লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে অনশন ভাঙলেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর পরই ফের সরিয়ে নেওয়া হল অশোকবাবুকে। অধ্যক্ষের পদে এলেন উচ্ছল কুমার ভদ্র। এর আগে মেডিক্যাল কলেজে সাংবাদিক বৈঠকের পরই হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন উচ্ছলবাবু। সেদিন পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য ছিল, এমসিআই-এর সিদ্ধান্তের উর্ধ্বে গিয়ে ছাত্রদের দাবি কোনও মতেই মানা সম্ভব নয়। ‘মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র নিয়ম অনুযায়ী নতুন ভবনে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে সিনিয়র পড়ুয়াদের রাখা যাবে না।
সোমবার আবারও পদে ফেরার পর উচ্ছলবাবু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান, "ডিএমই-র ফোন এল, আর আমিও দায়িত্ব ফিরিয়ে নিলাম। যা হয়েছে সবটাই আমার অবর্তমানে, সুতরাং এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি ভবিষ্যত দেখব। হয়ত অনেক রকম পরিবর্তনই হবে, সরকার আমাকে যা রূপরেখা দেবে আমিই সেটা নিয়েই কাজ করব। তবে সবটাই ওপর মহল দেখবে।কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উন্নতি সাধনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।"
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজের আরও একটি হস্টেল নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। আগামী বছর আবারও সেখানেই ফিরবেন পুরনো ছাত্ররা। আপাতত অস্থায়ী ভাবে ১০ তলার নতুন ভবনেই থাকবেন অন্যান্য বর্ষের ছাত্ররা।