কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক বিভাগীয় প্রধানের বক্তব্য ঘিরে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। গত দুদিন ধরে ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট সরগরম ছিল সার্জারি বিভাগের প্রধানের বক্তব্য নিয়ে। বলা হচ্ছিল, তিনি একটি বৈঠকে বলেছেন, অনশনরত ছাত্রদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তার ছবিতে ফুলমালা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আন্দোলনরত ছাত্রদের একাংশের বক্তব্য, এমন কিছু বলেননি তিনি। অন্যদিকে বিভাগীয় প্রধান নিজেও তাঁর বক্তব্য ঘিরে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এদিকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের একাধিক বৈঠকের পরেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। রফাসূত্রের খোঁজ চলছে এখনও। নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্ররা।
আরো পড়ুন: ১৭৫ ঘন্টা পার, আমরণ অনশনের হুমকি মেডিক্যালের ছাত্রদের
ইতিমধ্যে উচ্ছলকুমার ভদ্রের জায়গায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদের সাময়িক দায়িত্বে এসেছেন নতুন অধ্যক্ষ ডাঃ রামানুজ সিনহা। কলেজ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে নতুন দায়িত্বে আসা অধ্যক্ষ ছাত্রদের কাছে করজোড়ে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। তিনি জানিয়ে দেন, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক নতুন হোস্টেলে পুরনো ছাত্রদের ঘর দেওয়া যাবে না। নতুন অধ্যক্ষের এই বক্তব্য ঘিরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, হোস্টেলে ঘর বরাদ্দ করা নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এতদিন পর্যন্ত এই পদ্ধতিই চলে এসেছে। তাঁদের প্রশ্ন, এই উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে বা কারা? তাঁদের অনুমান, এ ব্যাপারে কলকাঠি নাড়ছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি স্বয়ং। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নিজের জমি বজায় রাখতে মরিয়া তিনি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের মূল সমস্যারই এখনও সমাধান হয়নি। তাঁদের দাবি, নতুন বিল্ডিংয়েই ঘর বরাদ্দ করতে হবে পুরনো ছাত্রদের। ইতিমধ্যে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সমর্থন আসতে শুরু করেছে নাগরিক সমাজের একাংশের পক্ষ থেকেও।