ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে এবার একজোট অভিভাবকরাও। ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা ভবিষ্যত নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্ক রয়েছে। বিশেষ করে মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অনেক জায়গাতেই এখনও কার্যকর হয়নি। দেশের বিভিন্ন জায়গায়, কাজকর্ম শুরু হয়েছে। যদিও বা গুজরাটের ছেলেমেয়েরা এখনও সমস্যাধীন। এদিন তাদের অভিভাবকরাও একজোটে শুরু করেছেন নতুন ক্যাম্পেইন। নিজেরা জয়েন্ট পিটিশন দিয়েই এই কাজে সংযুক্ত হয়েছেন তাঁরা।
গুজরাটের সরকার তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিন, নইলে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের খুব মুশকিল। কারণ, ইউক্রেনীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে ক্রমশ ফি এর জন্য তাড়া দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের বক্তব্য, একমাসের মধ্যে যদি এই সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তবে লক্ষ টাকার বেতন ভর্তি সাপেক্ষে দিতে হবে কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। রাজ্য সরকার যদি তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত না নেন, তবে টাকা পয়সাও যাবে কিন্তু ছেলেমেয়েদের কোনও সুরাহা হবে না।
এদিকে রাজ্যের কো অর্ডিনেটর জানাচ্ছেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা ক্রমশই বাড়ছে, তাদের বক্তব্য যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হবে এমনটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু দিনের পর দিন গুরুতর পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভেঙেও গিয়েছে, কী করা হবে বোঝা সম্ভব নয়।
রাজ্য সরকার চাইলে সবকিছুই সম্ভব। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নিজের রাজ্যেই ব্যবস্থা অবশ্যই করা উচিত। দেশ জুড়ে অনেক পড়ুয়াই এখন অন্ধকারে। যদিও কিছুদিন আগে ইউক্রেনের সরকার জানায়, ছেলেমেয়েরা চাইলে অবশ্যই নিজের দেশ থেকে পড়াশোনা সম্পূর্ন করতে পারবে।