গত দুইবছরে করোনা মহামারীর কারণে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে শিক্ষা সমাজ এবং পড়ুয়ারা। অনলাইন পঠনপাঠন এর জেরে তাদের পড়াশোনায় অনেকটা ছেদ পড়েছিল। ইতিমধ্যেই ভারতের বুকে, গরমের দাপট - রোদের তেজে ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে স্কুলগুলো। সামনেই পরীক্ষা, সেই নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ। পড়ুয়াদের স্বার্থেই এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে পেশ করা হয়েছে নয়া গাইডলাইন। তাতে সাফ লেখা, স্কুল বন্ধ করা চলবে না, প্রয়োজনে সকাল থেকে ক্লাস শুরু করতে হবে।
স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই অভিভাবক এবং ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে গভীর আতঙ্ক। অনলাইনে ক্লাস চললেও, তারা যেন একেবারেই বাড়ি বসে থাকতে নারাজ। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বাইরের খেলাধুলা, শরীরের ওপর প্রভাব পড়ে এমন ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করতে হবে অন্তত কিছুদিনের জন্য। ছাত্রছাত্রীদের হাইড্রেটেড রাখতে হবে। অবশ্যই তাদের বারবার জল খাওয়ার কথা বলতে হবে।
নির্দেশাবলী:-
বিদ্যালয়ের সময় এবং রুটিন:
- দুপুরে রোদের তেজ বাড়ার আগেই, স্কুল শেষ করতে হবে। সকাল ৭ টা থেকে ক্লাস শুরু করা যেতে পারে।
- প্রতিটা বিষয়ের ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে দিতে হবে।
- সূর্যের আলোয়, স্পোর্টস এবং বাইরের অ্যাকটিভিটি বন্ধ রাখতে হবে।
- ঢাকা এবং ছায়াযুক্ত এলাকায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। যেন রোদ খুব একটা না আসে।
- স্কুল ছুটির পর অবশ্যই পড়ুয়াদের খেয়াল রাখতে হবে।
এছাড়াও নিয়মের মধ্যে রাখা হয়েছে যাতায়াতের মাধ্যমকে। স্কুল বাসে কিংবা ভ্যানে বেশি ভিড় চলবে না। তাতে ফাস্ট এইড কিট রাখতে হবে। যারা সাইকেল কিংবা রাস্তা দিয়ে হেঁটে এসে তাদের মাথা এবং নাক মুখ ঢেকে আসতে হবে। সাইকেল এবং যেকোনও বাহন ঢাকা জায়গায় রাখতে হবে।
স্কুলের তরফে যেন ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা থাকে। টুপি এবং ছাতার ব্যবহার করা হয়। ছাত্রদের প্রতি পিরিয়ডের শেষে জল খাওয়ার কথা মনে করাতে হবে। খাবারে যেন হালকা পাতলা কিছুই থাকে। এইসময় তাদের বাইরে খাওয়া উচিত নয় সেই প্রসঙ্গেও জানাতে হবে। শুধু তাই নয়! স্কুল ইউনিফর্মের ক্ষেত্রেও বদল আনা যেতে পারে। তারা চাইলে হালকা রঙের সুতির পোশাক পড়েও স্কুলে আসতে পারে, বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
দেশের মধ্যভাগ থেকে উত্তর পশ্চিম এবং পূর্ব ভাগে, গরমের জেরে হঠাৎ করেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে করে পড়ুয়াদের অনেকেই বিচলিত।