লকডাউনে পড়াশোনার একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে অনলাইন মাধ্যম। অবশ্য নানা মহলে এই নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। কিন্তু এই অনলাইন পড়াশোনা কতটা ভালোবাসছে নানা স্তরের শিক্ষার্থীরা? আগামী দিনে তারা কি চায়, এই পদ্ধতিতেই লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যেতে? এই নিয়ে সমীক্ষা করেছে ব্রেনলি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একাংশের মতে অনলাইনের চেয়ে ঢের ভালো স্কুলের চক-ডাস্টার সহ দিদিমণির পড়ানো। কিন্তু সেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা আতঙ্ক। একাধিক ছাত্রছাত্রী লকডাউনের পর বাড়িতে থেকে অনলাইনে পড়াশোনা করার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে।
দেখা গিয়েছে, প্রায় ৩৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী স্কুল যেতে চায়। প্রায় ৫৩.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই পদ্ধতিতেই রাজি বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে, ৪২.৫ শতাংশ বলেছে, তারা কেবল অনলাইনে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চায়।
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫৫.২ শতাংশ শিক্ষর্থী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ক্লাসকে উপভোগ করছে। আগামীদিনে প্রায় এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনা করতে চায় বলে জানা গিয়েছে ব্রেনলির সমীক্ষা থেকে।
এদিকে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার না থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল আগেই বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ১৫ আগস্টের পরে ভারতের স্কুল খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুল চালু হলে, মাস্ক ও নিজস্ব হ্যান্ড স্যানিটাইজার আবশ্যক। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম রাখতে হবে। দুরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কঠোর নির্দেশিকা মেনে স্কুল শুরু করতে হবে। এইচআরডি মন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই নির্দেশিকাগুলি এনসিইআরটি তৈরি করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Read the full story in English