NEET পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। পোশাক নিয়ে ক্রমশ উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে এই পরীক্ষাকে ঘিরে। কোথাও মেয়েদের অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা হলে ঢোকার কথা বলা হয়েছে আবার কোথাও ইসলাম ধর্মাবলম্বী মেয়েদের বোরখা খুলে পরীক্ষা দেওয়ার মত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রীতিমতো এই কান্ড কীর্তিতে সরগরম দেশের নানা প্রান্ত।
ওয়াসিমের শান্তাবাই গোটে কলেজে ঘটেছে এইধরনের এক ঘটনা। যেখানে পরীক্ষা দিতে আসা মুসলিম মেয়েদের বোরখা এবং হিজাব খুলে রেখে তারপর ভেতরে প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়। যথারীতি এই ঘটনায় যথেষ্ট হীনমন্যতায় ভোগে সেই ছাত্রী। পরবর্তীতে ওয়াসিম পুলিশ স্টেশেন অভিযোগ দায়ের করে সে। ছাত্রীর বাবা গজনফার হুসেন জানান, NEET পরীক্ষায় এরকম কোনও নিয়ম নেই। কেবলমাত্র এটুকুই বলা হয় যে পরীক্ষা শুরু এক ঘণ্টা আগে সেখানে পৌঁছে যেতে হবে এবং মহিলা নিরাপত্তাকর্মী দ্বারাই পরীক্ষা করা হয়। আমরা সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানে পৌঁছাই কিন্তু তাদের বোরখা এবং হিজাব খুলে ফেলার কথা বলা হয়।
এদিকে নিয়মের ঘেরাটোপে প্রশাসন কাজ করেছে বলেই জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলছেন, NEET পরীক্ষায় ফুলহাতা কিছু পড়া যায় না। আর বোরখার লম্বা হাতা রয়েছে। পরীক্ষার সময় এই নিয়ে কোনও ঝামেলা হয়নি, পরবর্তীতে অভিভাবকরা অভিযোগ শুরু করেন। ওয়াসিম থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর রফিক শেখ জানান, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয় তদন্ত করলে দেখা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বিতর্ক কিংবা পোশাক নিয়ে উত্তেজনা - এর আগেও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। এদিকে NEET পরীক্ষায় মেয়েদের অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বসার নির্দেশ সম্পর্কে রেগে আগুন আমজনতা। একজন মেয়ের সম্মানে হাত দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগও উঠছে। রীতিমতো অপমানিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে আসে সেই মেয়েটি। বাবা মায়ের তরফেই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।