একদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন দুর্নীতি তেমনই অন্যদিকে উচ্চশিক্ষায় বাংলার কলেজগুলোর দারুণ ফলাফল। NAAC এর তরফে যে রিভিশন তালিকা পেশ করা হয়েছে তাতে লক্ষ্যণীয় বিষয় এই, যে শহরের কলেজগুলোর সঙ্গে জেলাস্তরের কলেজগুলোর CGPA অথবা NAAC ক্রেডিটেড নম্বর যথেষ্ট বেশি।
যদিও এই নম্বর ভিত্তি করে কলেজের পরিকাঠামো, ছাত্র ছাত্রীদের ভূমিকা, অফিসিয়াল স্ট্রাকচারের ওপর। আর এবার শহর কলকাতার কলেজ ছাড়াও জেলাস্তরের কিন্তু নজরকাড়া ফলাফল। জেলাস্তরে শীর্ষে রয়েছে মেদিনীপুর কলেজ। A++ পেয়ে তাঁরা জেলাকে অনেকটাই উপরে নিয়ে এসেছে। এছাড়াও বেহালা কলেজ এবং সেন্ট জেভিয়ার্স রয়েছে A++ এর তালিকায়। রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি কলেজ, রামকৃষ্ণ মিশন রহরা, এবং বেলুড়, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির এই দুটিও রয়েছে A++ বিভাগে।
A এর তালিকায় জেলার জয়জয়কার। কন্টাই থেকে সুন্দরবন, এখানের কলেজগুলোর নজরকাড়া সাফল্য। কন্টাই প্রভাত কুমার কলেজ, সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়, এবং সুন্দরবনের অন্যান্য কলেজগুলোর অনেকেই A বিভাগে। শহর কলকাতায় এর সঙ্গে রয়েছে স্কটিশ এবং লেডি ব্রাবর্ন। বেথুন কলেজ রয়েছে A+ বিভাগে। থার্ড সাইকেল এর পর একমাত্র সরকারি এবং মহিলা কলেজ হিসেবে এই কলেজ স্থান করে নিয়েছে। শুধু বেথুন নয়, বেহালা কলেজের A++ কিন্তু প্রাক্তনীদের কাছে খুব গর্বের। তাঁরা NAAC ভিসিট উপলক্ষে আয়োজন করেছিল বিশেষ অনুষ্ঠানের। তবে প্রাক্তনীদের কথায়, যেই বেহালা কলেজকে অনেকেই চিনত না, আজ সকলে চিনবে।
এদিকে, সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ে দুদিন আগেই উদযাপিত হয় বসন্ত উৎসব। রঙের উদযাপনে তাঁরা নিজেদের সাফল্যকেও মেলে ধরেছিলেন। NAAC সেলফ স্টাডি রিপোর্টে নরেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ রেসিডেন্ট কলেজের A+ বিভাগ নিয়েও উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা। এক ছাত্র শুভদীপ নিয়োগীর কথায়, এই সাফল্য সকলের। কারণ, আমাদের সবার অক্লান্ত পরিশ্রম, মহারাজদের পরিশ্রমের পর এই সাফল্য। বেথুন কলেজে শিক্ষিকারা এবং ছাত্রীরা রং খেলেই উদযাপন করেন এই সাফল্য।