বিগত দুই বছরে করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম আঘাত দেখা গিয়েছে। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরত্ব, পড়াশোনায় ঘাটতি যেন পড়ুয়াদের জীবনে এক অভিশাপ। শেখার ইচ্ছে যেমন কমেছে, তেমনই সাধারণ কিছু বিষয়ের পরিবর্তন তাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে অনুসারে ২০১৭ সালের রেকর্ড একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ২০২১ সালে। কেবলমাত্র রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে শিক্ষার এই মাত্রা একই রয়েছে।
প্রতিটি ক্লাসের পড়ুয়াদের মধ্যেই শিক্ষার মান নেমেছে। এবং যেকোনও একটি বিষয়ে নয়, বরং সবক্ষেত্রেই এক সমস্যা লক্ষ্যনীয়। পড়ুয়াদের মেরিট টেস্টের স্বার্থেই কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। গণিত, সাহিত্য এবং পরিবেশ বিজ্ঞানের ওপরেই তাদের ভাবনা চিন্তা খতিয়ে দেখা হয়। ক্লাস বিভেদে সেই চিত্রও কিন্তু অন্যরকম।
তৃতীয় শ্রেণীর ক্ষেত্রে অর্জিত স্কোর ২০১৭ সালের সার্ভের তুলনায় অনেক কম। কেরল এবং দক্ষিণের কিছু রাজ্য নিজেদের গণিতের দিকে আরও উন্নত করেছে, তবে সামগ্রিক স্কোর কমেছে। ভারতের রাজ্য গুলির মধ্যে রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং কেরালা রয়েছে শীর্ষে। এদিকে একদম নিম্নে রয়েছে তেলেঙ্গানা, অরুণাচল প্রদেশ এবং ছত্তিশগড়।
পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রেও খুব একটা এদিক ওদিক নেই। তবে যারা ভাল ফল করেছে তাদের স্কোরও ২০১৭ এর থেকে যথেষ্ট নিচে, তার মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ, এবং মধ্যপ্রদেশ। মেঘালয়ের অবস্থা এই লেভেলে যথেষ্ট খারাপ। অষ্টম শ্রেণীর সার্ভে-তে দেখা গিয়েছে, তামিল নাড়ু, উত্তর প্রদেশের মাত্রা সবথেকে কম। অধিকাংশই জানাচ্ছেন গত দু বছরে শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষমতা অনেকটা বদলেছে। আশ্চর্যের বিষয়, সামান্য ছোটখাটো অঙ্ক তাঁরা করতে পারছে না। অনেকের মধ্যেই নতুন অভ্যাস দেখা দিচ্ছে যা পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। শুধু তাই নয়, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক জীবনের পরীক্ষাও তাদের নেওয়া হয়। সংবিধানের অধীনে মৌলিক অধিকার এবং সুরক্ষা, প্রচার সম্পর্কে নিজস্ব কতটা জ্ঞান সেই সম্পর্কেও জানা হয়। এর মাধ্যমেই ছাত্রদের নানা সমস্যার কথা বুঝতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা।