জাতীয় শিক্ষা নীতির (এনইপি) খসড়ায় বিতর্কিত অনুচ্ছেদ সংশোধন করার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানালেন কে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন কমিটির দুই সদস্য। সংশোধনের পর বলা হয়, হিন্দি বাধ্যতামূলক নয়, বরং শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ মতো ভাষা বেছে নিতে পারবে পড়ুয়ারা।
দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে রমেশ পোখরিয়াল শুক্রবার দায়িত্ব নেওয়ার পরই তাঁর হাতে নয়া শিক্ষা নীতির খসড়া তুলে দেওয়া হয়। এরপরই এই খসড়া নীতি প্রকাশ্যে আসে। এই নীতিতে ত্রিভাষা তত্ত্বেরও উল্লেখ করা হয়েছিল। অর্থাৎ এই খসড়া অপরিবর্তীতভাবে রূপায়ন করা হলে হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দি, ইংরেজির সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের আরও একটি আঞ্চলিক ভাষা শিখতে হত। আর অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে সেই রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষা, হিন্দি এবং ইংরেজি পড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইংরেজি ভাষাই ভারতে অর্থনৈতিক বিভাজনের কারণ, বলছে শিক্ষানীতির খসড়া
খসড়ার প্রাথমিক রূপ দেখে প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলি। তাদের অভিযোগ ছিল, এই নীতির মাধ্যমে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবশেষে চাপে পড়ে শিক্ষনীতির খসড়া পুনরায় সংশোধন করে তা ওয়েবসাইটআপলোড করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীনই তিনটি ভাষার মধ্যে একটি পরিবর্তন করতে পারবে পড়ুয়ারা। অর্থাৎ পছন্দ মতো ভাষা বেছে নিতে পারবে পড়ুয়ারা’’।
এদিকে, খসড়া শিক্ষা নীতি কমিটির সদস্য তথা মধ্যপ্রদেশের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চ্যান্সেলর রাম শংকর কুরেল এবং উত্তরপ্রদেশ হাই স্কুল ও অন্তবর্তী পরীক্ষার বোর্ডের চেয়ারপারসন কে এম ত্রিপঠী এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মেইল-এর উত্তরে জানানো হয়, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই খসড়া সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নাম করে ১৫ লক্ষ মানুষকে প্রতারণা, গ্রেফতার আইআইটি পাশ যুবক
এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে ত্রিপাঠীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। কুরেল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "কমিটি ৩১ মে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে শিক্ষানীতির খসড়া কাগজে ছাপা অবস্থায় (হার্ড কপি) জমা দেয়। আমি সেই খসড়ার সঙ্গে একমত ছিলাম। সেখানে উল্লেখ ছিল, হিন্দি ইংরেজি সহ আঞ্চলিক ভাষা পড়া বাধ্যতামূলক"।
Read the full story in English