বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এবং আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতির যদি কোনও উন্নতি না হয় তাহলে তাহলে প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষাগুলি পিছিয়ে দেওয়া হবে, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। এদিন শিক্ষক, পড়ুয়া, প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার যারা স্টেকহোল্ডার এদের সকলের সঙ্গেই লাইভ আলোচনায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিন রমেশ পোখরিয়াল এও বলেন বহু পড়ুয়াই চেয়েছেন যে বছরের অত্যন্ত দুটি JEE এবং NEET পরীক্ষা হোক। এই বিষয়টি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সিলেবাস নিয়েও কথা হয়। একজন শিক্ষার্থী জানান যে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মূল সিলেবাসের ১০ থেকে ২০ শতাংশ সিলেবাস যদি কম করা যায়।
আরও পড়ুন, 'ভোটের ফল বেরলে মানসিক ভারসাম্য হারাবেন, স্বাস্থ্যসাথী করিয়ে রাখুন', দিলীপকে খোঁচা অভিষেকের
এর আগে রমেশ পোখরিয়াল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)-কে জানায় যে রাজ্য শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যোগযোগ করতে এই সকল পরীক্ষায় সিলেবাসের এই বিষয়টি নিয়ে। CBSE যেমন করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করেই ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে সিলেবাস।
CBSE বোর্ড পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, "আমরা সকলে সেই সময় দেব যাতে প্রত্যেকে এই নতুন ফর্ম্যাটে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এটি আমরা নিশ্চিত করব। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।" এমনকী CBSE বোর্ড পরীক্ষা কবে কী হবে তা করোনা পরিস্থিতি বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনকী বোর্ডের প্র্যাকটিকাল পরীক্ষার মধ্যে যেন এই সব এন্ট্রান্স পরীক্ষা না হয় সেই দিকটিও দেখবেন তিনি।
আরও পড়ুন, উন্নয়নই ভোটযুদ্ধের মূল হাতিয়ার, ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ তৃণমূলের
এ বছর CBSE তাঁদের পরীক্ষার প্যাটার্ন বদলেছে। সিলেবাস কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নপত্রেও বদল থাকছে। এবছর বেশিরভাগ প্রশ্নই প্রয়োগমূলক ভিত্তিতে থাকবে। এমনকী JEE এবং NEET পরীক্ষা কতবার দেওয়া যাবে তা আগামী দিনের পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করেই ঠিক করবে শিক্ষামন্ত্রক।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন