পড়ার চাপে খেলার মাঠ ভুলেছে শৈশব, একথা আজ আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। হোমওয়ার্কের চাপ আর বই-এর ভারে নুইয়ে পড়া শৈশবের আজ ওষ্ঠাগত প্রাণ। কিন্তু এবার কিছুটা হলেও মিলবে মুক্তি। কারণ, খুদে পড়ুয়াদের হোমওয়ার্কের বোঝা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। রাজ্যগুলিকে মন্ত্রক যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের কোনও হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভাষা এবং অঙ্ক ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ের চাপও দেওয়া যাবে না ওই শ্রেণিগুলিতে। পাশাপাশি, ভাষা এবং অঙ্ক ছাড়া শুধুমাত্র পরিবেশবিদ্যা রাখা যাবে তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতার জাঁতাকলে ওর বেড়ে ওঠায় বাধা হবেন না, ওকে ডানা মেলতে দিন!
না এখানেই শেষ নয়। "ইস্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী", এই আর্তনাদও পৌঁছে গিয়েছে ওপর মহলে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া ওই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, ক্লাস অনুযায়ী স্কুল ব্যাগের ওজনও হবে নির্দিষ্ট। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যাগের বেঁধে দেওয়া ওজন এইরকম- প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি: ১.৫ কেজির মধ্যে, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি: ২-৩ কেজির মধ্যে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি: ৪ কেজির মধ্যে, অষ্টম ও নবম শ্রেণি: ৪.৫ কেজির মধ্যে, দশম শ্রেণি: ৫ কেজির মধ্যে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের প্রতিটি স্কুলে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা
তবে এই নির্দেশিকা আদৌ সমস্ত স্কুলে মানা হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। স্কুল ব্যাগের ভার, আর হোমওয়ার্কের এই চাপ থেকে শৈশব মুক্তি পাবে কীনা তার উত্তর দেবে সময়।
Read the full story in English