অনশন প্রত্যাহার করলেন রাজ্যের আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকরা। ২৮ দিনের মাথায় এই অনশন প্রত্যাহার করা হল। আন্দোলনকারীদের দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনমাসের সময়সীমা চেয়েছে রাজ্য সরকার। এরপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে ফলের রস অনশন প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যত চূড়ান্ত হয় বলে খবর।
এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের নেত্রী মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক করে সমস্যা সমাধান করতে তিন মাস সময় চেয়েছেন। পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদার পাশাপাশি বেতন পরিকাঠামো ঠিক করা নিয়ে আশাব্যঞ্জক মন্তব্য করেছেন। আমাদের সমস্যা যে যথাযথ সে বিষয়ে সহমত পোষন করেছেন পার্থবাবু। পাশাপাশি মার্চ মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি"।
পার্শ্বশিক্ষকদের অন্যতম নেতা ভগীরথ ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পালন করবে বলে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে আমরা আন্দোলন স্থগিত রেখেছি। মার্চ মাসের মধ্যে দাবি পূর্ণ না হলে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব আমরা। আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করিনি, স্থগিত রেখেছি। বৈঠকে মন্ত্রী জানিয়েছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য বাইশকোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হয়েছে, সেখানে ষোলশ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বাকি টাকা আসেনি। পার্শ্বশিক্ষকের নাম বদলে 'পূর্ণশিক্ষক' করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী"।
উল্লেখ্য, বুধবার আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের চার প্রতিনিধির সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকালই, বৈঠক আশাব্যঞ্জক বলে জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের সদস্য রোমিউল ইসলাম।
রোমিউল জানিয়েছিলেন, বৈঠকে আন্দোলনকারীদের সমস্ত দাবির কথা শোনেন শিক্ষামন্ত্রী। উপযুক্ত বেতন কাঠামো, পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা, নিয়োগের দিন থেকে প্রভিডেন্ড ফান্ডসহ একাধিক দাবি শুনেছেন তিনি। এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্শ্বশিক্ষকদের জানান, কেন্দ্রের থেকে রাজ্য বেশি অনুদান দিয়ে থাকে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে, পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য কত টাকা নতুন পে কমিশনে ধার্য করা হবে? পেনশন বেনিফিটের দাবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে রাজ্য, বুধবার বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপরই বৃহস্পতিবার অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা।