/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/NCERT.jpg)
এনসিইআরটি দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যবই থেকে পর্যায় সারণি অধ্যায়টি বাদ দিয়েছে। পর্যায় সারণি অধ্যায় রসায়নের শিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রসায়নের অনুশীলনের জন্য এটা জরুরি। কারণ, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রাসায়নিক উপাদানগুলো সম্পর্কে জানতে পারে। আর, এই কারণেই এনসিআরটির একাদশ শ্রেণির রসায়নের পাঠ্যপুস্তকে উপাদানের শ্রেণিবিভাগ এবং বৈশিষ্ট্যের পর্যায়ক্রম অধ্যায়টি মার্কিন রসায়নবিদ গ্লেন টি সিবার্গের একটি কথা দিয়ে শুরু হয়। যেখানে সিবার্গ পর্যায় সারণি প্রশংসা করেছেন। তারপরও এনসিইআরটি স্রেফ যৌক্তিকতা নেই এই দোহাই দিয়ে দশম শ্রেণির সিলেবাস থেকে পর্যায় সারণিকে বাদ দিল।
২০২২ সালের জুনে এনসিইআরটি দশম শ্রেণির সিলেবাসের ভার কমিয়েছে। করোনা পরবর্তীকালে পড়ুয়াদের ওপর থেকে শিক্ষার বোঝা কমাতে এই সিলেবাস ছাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিইআরটি। কিন্তু, সেই সিলেবাস ছাঁটতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোই সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে এনসিইআরটি। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। যেমন, বিজ্ঞানের পাঠ্যবই থেকে বিবর্তনের অধ্যায়টি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাদের পর এনসিইআরটির নতুন সিলেবাস অনুযায়ী তৈরি পাঠ্যপুস্তকগুলো বাজার ছেয়ে ফেলেছে।
তবে প্রাকৃতিক নির্বাচনের উপর ডারউইনিনীয় তত্ত্ব-সহ বিবর্তন' স্কুল পাঠ্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে রয়ে গেছে। আর, এনসিইআরটির দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে এই বিষয়ে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ পড়া অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণিতে ফাইবার এবং কাপড়ের অধ্যায়ও রয়েছে।
এই বিষয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির অধ্যায়ে চরকা প্রসঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর একটি উদাহরণ ছিল। যাতে বলা হয়েছিল যে, 'কাটার জন্য চরকা হল আরেকটি হস্তচালিত যন্ত্র। স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ হিসেবে মহাত্মা গান্ধী চরকার ব্যবহার জনপ্রিয় করেছিলেন। তিনি মানুষকে বাড়িতে বানানো সুতার তৈরি পোশাক পরতে এবং ব্রিটেনের মিলগুলো থেকে আমদানি করা কাপড় বর্জন করতে উত্সাহিত করেছিলেন।'
আরও পড়ুন- মণিপুরে হানাহানি, শান্তি প্রতিষ্ঠায় কী দাওয়াই শাহর?
আবার নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যবই থেকে 'কেন আমরা অসুস্থ হই' অধ্যায়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায় শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভাইরাস এবং বায়ুবাহিত রোগের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু, সেটাও যৌক্তিকতা নেই, এই দোহাই দিয়ে বাদ দিয়ে দিয়েছে এনসিইআরটি।