Advertisment

বিশ্বভারতীর সমাবর্তন: গুরুদেবের অখণ্ড ভারতের বার্তা মোদীর

শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নরেন্দ্র মোদী। করোনা আবহে ভার্চুয়ালি বক্তব্য পেশ করেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নরেন্দ্র মোদী। করোনা আবহে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথম পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছাড়াই বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান হল। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষণে অখণ্ড ভারতের কথা তুলে ধরেন মোদী। বলেন, 'এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা শুধু বিশ্বভারতীর অংশ নন, তাঁরা বিশ্বের অংশ। সারা পৃথিবীর সঙ্গে এর যোগ। দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে হবে।' পরাধীনতার গ্লানি মোচনে গুরুদেবের শিক্ষানীতির সঙ্গে দেশের বর্তমান শিক্ষানীতির মিল রয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর।

Advertisment

বিশ্বভারতীয় সমাবর্তনে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?

  • 'বিশ্বভারতীকে শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাননি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বভারতীতে যারা শিক্ষা নেবে, তারা গোটা বিশ্বকে ভারতীয় সংস্কৃতি ও চিন্তার আঁধারে দেখবে। দেশকে একসূত্রে বেঁধে রাখবে। রবীন্দ্রনাথের অখণ্ড ভারতের ভাবনা মনে রাখতে হবে।'
  • 'আলো আমার আলো ওগো, আলোয় ভূবন ভরা। ভারতীয় সংস্কৃতিকে শীর্ষে পৌঁছতেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী গড়েছিলেন।'
  • 'ভারতের বিবিধের মাঝে মহামিলনের কথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। জ্ঞানই শক্তি, জ্ঞানের কোনও সীমা নেই। জ্ঞান ও ক্ষমতা আসে দায়িত্ববোধ থেকে। সকল দেশবাসীকে রবীন্দ্রনাথের অখণ্ড ভারতের বার্তা মনে রাখতে হবে।'
  • 'আমাদের চিন্তা ভাবনা বদলাতে হবে। ইতিবাচক হতে হবে। মন নেতিবাচক হলে, চারদিকেই নেতিবাচক বিষয় দেখবেন। কিন্তু মন ইতিবাচক হলে, সবার চেয়ে ঊর্ধ্বে উঠে খারাপ শক্তির মধ্যেও আপনি ভালটা খুঁজে নেবেন। নিজেই নিজের সমাধান হয়ে উঠবেন। মহাভারতের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধ থাকলে, আপনার কোনও না কোনও গুণ দেশের কাজে লাগবেই।'
  • 'বিশ্বভারতীর ১০০ বছর পূর্তিতে ভারতের আত্মনির্ভরতায় আপনাদের অর্থাত্‍ যুবসম্প্রদায়কে যোগদানের জন্য আমি আহ্বান জানিয়েছিলাম। দেশের যুবসম্প্রদায় এগিয়ে এলে, গোটা দেশ তাঁদের পাশে আছে। আমি ও আমার সরকার সর্বদা যুবসম্প্রদায়কে সাহায্যের জন্য পাশে আছে।'
  • 'পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য গুরুদেব যে পদ্ধতিতে বিশ্বভারতীতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন ভারতের নতুন শিক্ষানীতিও সেই রকমই। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য তৈরি। দেশের নতুন শিক্ষানীতি দিশা দেখাবে দেশকে।'
  • 'দেশের মেয়েদের ছাড়া আত্মনির্ভর ভারত কখনও সম্ভব নয়। তাই মেয়েদের ড্রপ আউট আটকাতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।'
  • 'আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি সমাধানের অংশ হবেন, না সমস্যার। সৎ কাজে শিক্ষা ব্যবহার করলে এক ফল পাওয়া যাবে, অসৎ কাজে ব্যবহার করলে অন্য কাজে লাগবে। নিজের স্বার্থ থেকে উপরে উঠতে হবে, দেশেকে প্রাধান্য দিলেই সব কিছুর সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে।'
  • 'আগামী ২৫ বছরে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীরা একটি ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি করুন। একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। ভারতের স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তিতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা লক্ষ্যমাত্রা স্থির করুন যা দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।'

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এদিন ২ হাজার ৫৩৫ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়ও উত্তরাখণ্ডে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত আর একটি ক্যাম্পাস চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী তথা আতার্য নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

visva bharati modi
Advertisment