PM Narendra Modi Speech Today on New Education Policy 2020 LIVE Updates: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চ শিক্ষায় রূপান্তরমূলক পুনর্গঠন’ নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। তিনি প্রথমেই শিক্ষানীতি নিয়ে দেশ জুড়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি দেশের সকল উপাচার্যদের উদ্দেশে শুরুতেই বলেন, " নতুন শিক্ষানীতি একটি স্বাস্থ্যকর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। আমরা যতই আলোচনা করব এবং তর্ক করব ততই শিক্ষা বিভাগের উপকার হবে। অবশ্যই, এই পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু আমরা সবাই মিলে এর বাস্তবায়ন করব। আপনারা প্রত্যেকে নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত। তাই আপনাদের দায়িত্ব অনেক"।
ভার্চুয়াল সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক ও ইসরো প্রাক্তন প্রধান কাস্তুরিরঞ্জন। প্রসঙ্গত, নতুন শিক্ষানীতি গঠনের নেপথ্যে থাকা কমিটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারতকে শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল, উপযুক্ত করার জন্য এবং একুশ শতকের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে নয়া শিক্ষনীতি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লেখাপড়া করা হবে আগামীদিনে। তিন চার বছর পরীক্ষমূলক সমীক্ষা চলার পর এই শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের দৌড় থেকে বের করে আনতে হবে ভারতের পড়ুয়াদের"।
তিনি জানিয়েছেন শ্রমিক, চাষীদের পরিশ্রম সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে নয়া রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতিতে। তাদের কাজকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, "প্রয়োজন অনুসারে মাঝপথে পড়াশোনা থামিয়ে দেওয়ার সুবিধা থাকছে। প্রয়োজনে তারা পরবর্তীকালে আবার শুরু করতে পারবে লেখাপড়া। চাকরির প্রয়োজন অনুসারে পড়তে পারবেন শিক্ষার্থীরা"।
প্রতিভা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের চেষ্টা করা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। উচ্চশিক্ষার সংস্কার নিয়ে বক্তব্য পেশ করার সময় এপিজে আব্দুল কালাম ও রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "শিক্ষকদের প্রশিক্ষনে জোড় দেওয়া হয়েছে। যাতে শিক্ষকরা নিজেদের ক্রমশ আপডেট করতে পারে। নতুন শিক্ষানীতি দিশা দেখাবে ২১ শতককে"।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রকের ফেসবুক এবং টুইটার হ্যান্ডলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় মোদীর ভাষণ।
Read the full story in English