আড়াই বছর পর আজ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। প্রেসিডেন্সি সহ কলেজস্ট্রিট চত্বরে মোতায়েন রয়েছে আঁটোসাঁটো পুলিশি নিরাপত্তা। পরিচয়পত্র ছাড়া এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এবারের নির্বাচনে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ (সিআর)-এর আসন ১১৬টি। এই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগাম জিতে গিয়েছেন ২৯ জন প্রার্থী। বাকি সিআর আসন এবং পাঁচটি বিশেষ পদের জন্য এদিন ভোটদানে অংশগ্রহণ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সির এই ভোটে 'নোটা' রয়েছে। একদল পড়ুয়া জানাচ্ছেন, নোটার ভুমিকা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে প্রার্থীরা। এসএফআই কাঁধের কাছে নিশ্বাস ফেলছে আইসি।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সিতে লড়ছে মূলত দুই বামপন্থী সংগঠন এসএফআই এবং আইসি। এছাড়া রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বেশ কিছু প্রার্থীও। তবে এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এবিভিপির কোনো চিন্থ নেই।
আরও পড়ুন: শবরীমালা: মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ইস্যু সাত বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, ছাত্রছাত্রী বা ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই ১৪ নভেম্বর ছাত্র কাউন্সিল নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু আড়াই বছর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট হওয়ার কারণে তাঁরা বাধা হয়ে দাড়াতে চাননি।
আড়ও পড়ুন: রাহুল গান্ধী সতর্ক হোন, আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
এদিন, ২০১৩ সালের নির্বাচনের নিয়ম মেনেই ভোট শুরু হয় প্রেসিডেন্সিতে। বহাল রয়েছে সেন্ট্রাল প্যানেলের নিয়মও। সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্সিতে ভোট হচ্ছে না। ক্লাসে ৭৫ শতাংশ হাজিরা না থাকলে ভোট দিতে পারবে না সেই পড়ুয়া।
অক্টোবর মাসে রাজ্য সরকার হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানায়, ছাত্র পরিষদ বা ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যাই হোক তার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই বিজ্ঞপ্তির পরই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়।