কলকাতায় যাদবপুরের পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিসির ডকুমেন্টরি স্ক্রিনিং। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিতর্কিত কার্যকলাপের এই ডকুমেন্টরি নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। দেখানো হয়েছে ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এদিন প্রেসিডেন্সিতে তথ্যচিত্র চলাকালীন আধ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। চলে বিক্ষোভ। যদিও পরে ফের তথ্যচিত্র প্রদর্শন শুরু হয়।
Advertisment
কলেজের SFI কর্তৃপক্ষ আয়োজন করেছিল এই স্ক্রিনিং এর। কিন্তু হঠাৎ এই বিতর্কিত ডকুমেন্টরি কেন? এই প্রসঙ্গে সদস্য ঋক ভট্টাচার্য বলেন, "এই ডকুমেন্টরিটি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরেছে যেগুলি অনেকেই জানে না। প্রথম পর্ব গুজরাট নিয়ে এবং দ্বিতীয় পর্ব কাশ্মীর নিয়ে। যাই হোক না কেন, এটিকে সুপ্রিম কোর্ট ব্যান করে দেয়। তাঁর একটাই কারণ, ভারত সরকার এবং নরেন্দ্র মোদীর এমন কিছু ঘটনা এতে দেখানো হয়েছে যাতে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা শুধু সেটাই জানাতে চেয়েছি"। তবে, এর মাঝেই শোরগোল। তথ্যচিত্র দেখাতে দেখাতেই পাওয়ার কাট করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। প্রায় আধঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
বাধা এখানেই শেষ নয়! এই তথ্যচিত্রটি যা প্রথম থেকেই ব্যান করা হয়েছে, সেটি প্রদর্শন করে যেন কোনও ঝামেলার মুখোমুখি না পড়তে হয়। যদি পরবর্তীতে তা হয়ও, তাঁর জন্য কর্তৃপক্ষ দায় নেবে না বলেই প্রথম থেকে সতর্ক করেছিল। গতকালের ঠিক একই চিত্র ধরা পড়েছে আজকের প্রেসিডেন্সিতে। তবে, বর্তমানে আজাদী স্লোগান দিতেই দেখা গিয়েছে ছাত্রদের। সূত্রের খবর, ডকুমেন্টরি চলাকালীন পাওয়ার কাট করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখানো হয়েছে, এটা কি এখন ট্রেন্ড বলে এই ভাবনা চিন্তা? ঋকের জবাব, "ঠিক ট্রেন্ড নয়। আমরা চেয়েছি, যাতে সত্যিটা সামনে এসে। এই যে মুসলিমদের প্রতি অকথ্য অত্যাচার, এগুলো সবার জানা উচিত। অন্তত, এই সত্যিগুলো সবার সামনে এলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যদি কিছু মানুষও যায় সেটাও একধরনের জিত আমাদের"।
দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও গতকাল এই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। তারপরেও বেশ কিছু বিতর্ক চোখে পরে। প্রেসিডেন্সির এদিনের কর্মসূচিতে জেনারেল কমন রুমে উপস্থিত ছিলেন বেশকিছুজন জন ছাত্রছাত্রী। কিন্তু অডিটোরিয়ামে এই ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা যায়নি। কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমেই সাফ না করে দেওয়া হয়। তারপরেও থামার প্রয়োজন মনে করেননি তাঁরা।