অনলাইন ক্লাস চলাকালীন পরতে হবে স্কুলের পোশাক। এমনই নিয়ম জারি করেছে আহমেদাবাদের একটি বেসরকারি স্কুল। কিন্তু এই নিয়ম মানতে নরাজ শিক্ষার্থীদের বাবা-মা। এরপরই গ্রামীণ জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানায় ও এই নিয়ম তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
২৩ শে মে আহমেদাবাদ শহরের বোপাল অঞ্চলের সিবিএসই-অনুমোদিত শান্তি এশিয়াটিক স্কুলে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অনলাইন ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক"।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের উদ্দেশে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "অনলাইন ক্লাসের জন্য দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনা করা হয়েছে, এখন নিয়ম মেনে ক্লাস করতে হবে। আমরা ক্লাস চলাকালীন স্কুলের পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এটি লেখাপড়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ গড়ে তুলবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস স্কুল প্রশাসক মিনাল দেওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি নতুন সার্কুলার সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্কুল জুন মাস থেকে অনলাইন ক্লাসের দ্বিতীয় পর্ব নির্ধারণ করেছে, যদিও তারিখটি এখনও ঘোষিত হয়নি।
ডিইও (গ্রামীণ) রাকেশ ব্যাস নিশ্চিত করেছেন যে তার অফিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ম প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “আমি বিদ্যালয়ের প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুল এটি প্রত্যাহার এবং তার অনলাইন ক্লাসের দ্বিতীয় পর্বের জন্য একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করার আশ্বাস দিয়েছে”।
কেন অভিভাবকরা ইউনিফর্ম পরে ক্লাস করার বিরোধিতা করেছেন? জানা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কেবল বিরক্তি প্রকাশ করেনি, বরং অভিযোগ করেছেন স্কুল তাদের ইউনিফর্ম বিক্রি নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের জন্য স্কুলের ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক করা হাস্যকর। অনেক সময় অনলাইন ক্লাসগুলি শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য মুখ দেখা যায়না বলে জানিয়েছেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক।