রাম মন্দির: ‘‘সুপ্রিম কোর্ট আমাদের’’ বলে বিপাকে বিজেপি মন্ত্রী, ব্যাখ্যার চেষ্টা

বিষয়টি যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাইসেরগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে আছে বলেই তো... সুপ্রিম কোর্টও তো আমাদেরই।"

বিষয়টি যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাইসেরগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে আছে বলেই তো... সুপ্রিম কোর্টও তো আমাদেরই।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সুপ্রিম কোর্ট।

অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানোর ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উত্তরপ্রদেশের এক মন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আমাদের’। তারপর, চাপের মুখে পড়ে যোগী মন্ত্রিসভার সমবায়মন্ত্রী মুকুটবিহারী ভার্মা সোমবার বলেছেন, তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, শীর্ষ আদালত দেশের মানুষের।

Advertisment

ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিও ক্লিপে ওই মন্ত্রীকে শনিবার সাংবাদিকদের বলতে শোনা যায়, ‘‘বিজেপি উন্নয়নের ইস্যুতে ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু রাম মন্দির আমাদের কাছে বিশ্বাসের প্রশ্ন। মন্দির তৈরি হবে। রাম মন্দির তৈরি করার ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’

বিষয়টি যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাইসেরগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে আছে বলেই তো... সুপ্রিম কোর্টও তো আমাদেরই। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের, বিচারবিভাগ আমাদের, প্রশাসন আমাদের, আইনসভাও আমাদের।’’

Advertisment

সোমবার সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের কাছে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভার্মা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা বলতে আমি দেশের ১২৫ কোটি মানুষের কথা বলতে চেয়েছি। বিজেপি বা আমার কথা বলতে চাইনি।’’ তিনি আরও বলেছেন, তিনি একবারও ‘আমি’ বা ‘আমার সরকার’ বলেননি, ‘আমাদের’ বলেছেন।

পিটিআইকে মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি যখন ঝুলে আছে তখন অযোধ্যায় কীভাবে রাম মন্দির বানানো সম্ভব? আমি বলেছি সারা দেশ আমাদের। মন্দির আমাদের, বিচারবিভাগ আমাদের, আইন সভা আমাদের, প্রশাসন আমাদের। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইন যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেরকমই হবে।

কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য বলেছিলেন, যে যদি অন্য কোনও উপায় না থাকে তবে ‘প্রয়োজন হলে’ অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানোর ব্যাপারে সংসদ আইনসভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সেই বক্তব্যের পরে পরে, মুকুটবিহারীর বক্তব্য তাৎপর্য্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

supreme court