ইউক্রেনের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা। এবার ভারতেই তৈরি হবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেনের বহু যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে আটকে পড়েন। ভারত সরকার ধাপে ধাপে তাঁদের অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে দেশে উড়িয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাস যদি ভারতেই হত তাহলে এই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হত না পড়ুয়াদের।
বুধবার জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার বিরাট ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতেই এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরির পথে হাঁটছে সরকার। আর পড়ুয়াদের বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে হবে না। তাঁরা দেশের মাটিতেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবেন।
জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, খসড়া নিয়মাবলী দুমাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছেন, "সম্প্রতি আমি বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভারতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি করতে আগ্রহী। আমরাও আমাদের ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনছি। সেগুলি কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত হোক, বেসরকারি হোক বা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক না কেন। তারাও যাতে বিদেশে তাদের ক্যাম্পাস খুলতে পারে, সেই চেষ্টাই চলছে।"
আরও পড়ুন কর্মচারী নয়, নিয়োগকর্তা হওয়ার জন্য পড়াশোনা করতে হবে, পড়ুয়াদের বললেন শিক্ষামন্ত্রী
এদিন পাশাপাশি, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন নিয়ে তিনি বলেছেন, "আজ, আমরা শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের বাইরে কোথাও তাদের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্রেডিট করার অনুমতি দিয়েছি এবং এর সমান্তরালে আমরা অ্যাকাডেমিক ব্যাংক অফ ক্রেডিটও তৈরি করেছি। শীঘ্রই, আমরা এমন কিছু পরিবর্তনও আনতে যাচ্ছি যা আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে UGC-এর কোনও অনুমতি ছাড়াই অনলাইন প্রোগ্রাম অফার করতে সক্ষম করবে।"
উল্লেখ্য, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস দুদিন ব্যাপী এই শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, শিক্ষাবিদ, শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছেন। প্রথম দিন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রথম বর্ষপূর্তিতে তার প্রভাব এবং প্রণয়নের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ইউজিসি চেয়ারম্যান, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়ারা অংশ নেন।