অধ্যাপক-উপাচার্যদের অবসরের সময়সীমা বাড়ছে, ঘোষণা মমতার

আগেই অধ্যাপকদের কর্মজীবনের মেয়াদ ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করা হয়েছিল। এবার অবসরের সময়সীমা আরও তিন বছর বাড়িয়ে ৬৫ করা হল। অবসরের সময়সীমা বাড়ানো হল উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যদেরও।

আগেই অধ্যাপকদের কর্মজীবনের মেয়াদ ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করা হয়েছিল। এবার অবসরের সময়সীমা আরও তিন বছর বাড়িয়ে ৬৫ করা হল। অবসরের সময়সীমা বাড়ানো হল উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যদেরও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata banerjee, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের অবসরের সময়সীমা আবারও বাড়ানো হল। আগেই অধ্যাপকদের কর্মজীবনের মেয়াদ ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করা হয়েছিল। এবার তাঁদের অবসরের সময়সীমা আরও তিন বছর বাড়িয়ে ৬৫ করা হল। নতুন বছরের শুরুতে এমনই ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু অধ্যাপকরাই নন, অবসরের সময়সীমা বাড়ানো হল উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যদেরও। তাঁদের কর্মজীবনের মেয়াদ ৬৫ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৭০। সোমবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisment

এ প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, ‘‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ৬২ থেকে ৬৫ করা হল। উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যদেরও অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁদের কর্মজীবনের মেয়াদ ৬৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০।’’

আরও পড়ুন, মমতার ডিএ ঘোষণা ‘প্রতারণা’, দাবি বাম কর্মচারী সংগঠনের

Advertisment

অন্যদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মঞ্চ থেকে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১০ জানুয়ারি তিনি নদিয়ায় কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি, মমতা এদিন জানিয়েছেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও মহাত্মা গান্ধীর নামাঙ্কিত চেয়ার তৈরি করা হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এদিকে, প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ ইস্যুতেও এদিন সরব হয়েছেন মমতা। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কয়েকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যাদের আমরা ভালবাসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন রাজ ভবনে করতে চেয়েছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এটা শুনে। অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর থেকে শংসাপত্র নিতে অস্বীকার করেন পড়ুয়ারা। সৌজন্যতায় এত খামতি কেন? সৌজন্যতার রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি।’’

একথা বলার পাশাপাশি পড়ুয়াদের কাছে মমতার আর্জি, ইতিহাসকে যেন বজায় রাখেন পড়ুয়া ও গবেষকরা। রাজনৈতিক মতাদর্শের জেরে যেন ইতিহাস বদলে ফেলা না হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও স্বশাসন যেন খর্ব করা না হয়।’’

এদিনের সমাবর্তনে ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তাঁকে এদিন সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে প্রাক্তন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘ভয় ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না।’’ নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে লেখা, ভাবার প্রয়োজনীয়তা থাকা দরকার বলেও তিনি এদিন মন্তব্য করেন।

Read the full story in English

kolkata news Mamata Banerjee