Advertisment

মাধ্যমিকের পর এই স্কলারশিপগুলি পড়ুয়াদের ভীষণ কাজে লাগতে পারে, জানুন

স্কলারশিপ সংক্রান্ত সব তথ্য জেনে নিন

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
পশ্চিমবঙ্গ স্কলারশিপ, west bengal scholarship, scholarships students

যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকেই আর্থিক কারণে পিছিয়ে পড়তে হয় অনেক পড়ুয়াদের। সেই কারণেই  সরকারের তরফে হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় নানা স্কলারশিপের। নিজস্ব যোগ্যতার মধ্যে দিয়েই এখন সেই স্কলারশিপ পাওয়া যায়। সেগুলো কি কি জেনে নিন বিস্তারিত।

Advertisment

বিকাশ ভবন স্কলারশিপ :- বিকাশ ভবন স্কলারশিপ কিংবা স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপ একই। এটিকে SVMCM বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব।

কত শতাংশ নম্বর লাগে:

  • ৬০% নম্বর অবশ্যই লাগে মাধ্যমিক স্তরে।
  • তাকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
  • বাৎসরিক আয় ২.৫ লক্ষের কম হতে হবে।
  • এই স্কলারশিপের ক্ষেত্রে বছর গেলে সম্পূর্ন টাকা একবারে দেওয়া হয়। সেটি বিভিন্ন স্তরে আলাদা হয়। তবে মোট অঙ্কের হিসেবে ১২,০০০ কিংবা ২৪,০০০ টাকা একেবারেই দিয়ে দেওয়া হয়।
  • অনলাইনের মাধ্যমে এটি আবেদন করতে হয়। অবশ্যই নিজের স্ক্যান করা ছবি, স্বাক্ষর, সমস্ত মার্কশিট এর কপি সবকিছু আপলোড করতে হয়। এলাকার প্রধান বিডিও, কিংবা ডেপুটি কমিশনার, এক্সিকিউটিভ অফিসার এদের থেকে আয়ের সংশাপত্র থাকতে হবে।
  • বয়সের সার্টিফিকেট অবশ্যই লাগবে।
  • রেসিডেনসিয়াল প্রুফ দিতে হবে।
  • পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির যে স্লিপ রয়েছে সেটি।
  • সঠিক একাউন্ট নম্বর এবং IFSC সহ ব্যাংকের পাশবই এর প্রথম পাতা।

নবান্ন স্কলারশিপ :- নবান্ন স্কলারশিপ মাধ্যমিক পাশের পর থেকেই পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে কোর্স অনুযায়ী আলাদা আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি রয়েছে। সবাই সমান টাকা কিংবা সমান সুযোগ পান না।

কত শতাংশ নম্বর লাগে :

  • মাধ্যমিকে ৬৫% নম্বর অবশ্যই লাগে। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের পর লাগে ৬০% নম্বর।
  • পরিবারের আয় হতে হয় বাৎসরিক ৬০০০০ টাকা।
  • পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা অবশ্যই হতে হবে।
  • পাওয়া যাবে বছরে ১০,০০০ টাকা।

কী কী ডকুমেন্ট লাগবে :-

  • নবান্ন স্কলারশিপ এর আবেদন পত্র
  • সেলফ ডিক্লারেশন
  • পরীক্ষার মার্কশিট
  • বর্তমান কোর্সে ভর্তির রশিদ
  • সরকারি গেজেটেড অফিসার দ্বারা বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট
  • আবেদনপত্রে নিজের পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগাতে হবে। ডাউনলোড করে প্রিন্ট করাতে হবে অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি।
  • এলাকার বিধায়ক বা সাংসদ কিংবা প্রধানের সংসাপত্র।

জমা দেওয়ার ঠিকানা :- Nabanna, ১৪ তলা, ৩২৫ শরৎ চ্যাটার্জি রোড, শিবপুর - হাওড়া।

বিশেষ উল্লেখ্য: যারা বিকাশ ভবন স্কলারশিপ আবেদন করবেন তারা এটি পাবেন না।

ঐক্যশ্রি স্কলারশিপ :- এটি সাধারণত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্কলারশিপ। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।

মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, জৈন - এরা এইক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন।

  • যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাঠরত তাদের পোস্ট ম্যাট্রিক বিভাগে আবেদন করতে পারবেন। শেষ পরীক্ষায় ৫০% নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।
  • বছরে পাওয়া যাবে ১০,০০০ থেকে ১৬,৫০০ টাকার কাছাকাছি।

আবেদনের সাইট : wbmdfcscholarship.org

কী কী লাগবে:-

সমস্ত প্রয়োজনীয় নথির সঙ্গে অবশ্যই কাস্ট সার্টিফিকেট। ব্যাংকের পাশ বই, মাধ্যমিক পাশের অ্যাডমিট কার্ড।

Education MEANS CUM MERIT
Advertisment