Advertisment

বাংলার সব স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়াল সরকার

করোনা পরিস্থিতি তার ওপর ঝড়ের তাণ্ডব, যার জেড়ে বাংলার সব স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়াল রাজ্য সরকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
স্কুল কলেজে ছুটি বাড়াল রাজ্য সরকার-জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে সরব তৃণমূল-মাহেশে বন্ধ রথযাত্রা-বায়না পেল না কুমোরটুলি

প্রতীকী ছবি

করোনা পরিস্থিতি, তার ওপর আবার ঝড়ের তাণ্ডব, যার জেড়ে বাংলার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়াল রাজ্য সরকার। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "সমস্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বহু স্কুল ঝড়ের ঝাপটায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে"। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য যে দিন ঘোষণা করা হয়েছে সেই দিনের আপাতত কোনো বদল হবে না। ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বাকি থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।

Advertisment

এদিন শিক্ষা মন্ত্রী জানান, বাংলার কয়েক হাজার স্কুলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনও স্কুলের ক্লাসরুম ভেঙে গিয়েছে, বাথরুম নষ্ট হয়ে গিয়েছে, আবার কোনও স্কুলের মিড ডে মিলের হেঁশেল নষ্ট হয়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া নিরাপদ নয়। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিপর্যয় মোকাবিলা দল কাজ শুরু করেছে।

অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথাও ভাবছে রাজ্য। তাদের কোথায় রাখা হবে সেই জায়গাও ঠিক করার চিন্তা ভাবনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরকম একটা টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল।

কিন্তু, এতে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ক্লাস না হওয়ার কারণে লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। পার্থ বাবু বলেন, আমরা রাজ্যের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক শিক্ষিকা  শিক্ষা সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করেছি, বিভিন্ন জায়গার ডি আই ও এসআই  শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষর্থীদের বাড়িতে গিয়ে পড়াতে পারে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবদিক বিবেচনা করার পর মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পরীক্ষা চলাকালীন সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে। কাজেই, পরীক্ষা কেন্দ্র সংখ্যা বাড়াতে হবে। এদিকে ঝড়ের দাপটে আট জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্য়ে ১০৫৮টি সেন্টারের মধ্যে ৪৬২ টি সেন্টারের ক্ষতি হয়েছে। তাই কলেজ গুলির সঙ্গে আলোচনা করে, কলেজগুলিকে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকায় রাখা হবে।

যে সমস্ত উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের বাকি পরীক্ষার বিষয়ের বই দেওয়া হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই সেই কাজ শুরু হবে।

WBCHSE
Advertisment