প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাসে বিতর্ক তুঙ্গে। প্রেম করা যাবে না, কলেজ ক্যাম্পাসে। ছাত্রদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, অভিভাবকদের ডেকে ডেকে নালিশ এবং সতর্ক করা হচ্ছে। ধড়-পাকড় করে তাঁদের কাউন্সিলিং করানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গেই আওয়াজ তুলেছে SFI কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপের কারণেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁরা জানিয়েছেন, ছাত্রদের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে সাম্প্রতিক সময়ে যে নতুন "আচরণবিধি" বাস্তবায়নের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদী ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর নিন্দা জানাই।
ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে এর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনায় কলেজের নজর না পড়ায় যথেষ্ট সঙ্কোচ প্রকাশ করেছে SFI-কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসের অমীমাংসিত কাঠামোগত এবং একাডেমিক সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এসএফআই-এর পক্ষ থেকে অসংখ্য আবেদন এবং দাবি সত্ত্বেও, কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলির প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন করেছে। এর ফলে ছাত্রদের চিন্তার স্বাধীনতা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আলোচনা, প্রতিবাদ আন্দোলন এবং সামগ্রিক কল্যাণে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
SFI-এর তরফে জারি করা হয়েছে নতুন কোড অফ কন্ডাক্ট। যাতে বলা হয়েছে, নতুন "কোড অফ কন্ডাক্ট" এর পিছনে উদ্দেশ্য হল ছাত্রদের দৈনন্দিন অভ্যাস হ্রাস করা এবং তাদের মুক্ত চিন্তাভাবনাকে বাধা দেওয়া, যার ফলে তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং তাদের জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার দমন করা। এসব অগণতান্ত্রিক আগ্রাসন শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই অসংখ্য অগণতান্ত্রিক বিধি-বিধান, শৃঙ্খলা কমিটি আরোপ করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ছাত্রদের স্বাধীনতা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আপস করা হচ্ছে, বিভিন্ন প্রক্রিয়া দ্বারা সুবিধাজনক. উপরন্তু, রাজনৈতিক আলোচনা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ, একটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত, এবং ক্যাম্পাস জীবনের অনুপ্রবেশকারী নজরদারিতে বাধা রয়েছে।
ছাত্রদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা তো দূর, তাঁদের প্রতি অন্যায় করছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের প্রয়োজনীয়তা না বুঝেই কলেজ যে ধরেনর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে নিতান্তই অসুবিধা হচ্ছে তাঁদের। তাঁরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ কোনো পরামর্শ ছাড়াই অগণতান্ত্রিক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পথ বেছে নিয়েছে। এই অগণতান্ত্রিক নজরদারি ক্যাম্পাস জীবনের সকল ক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে।