উচ্চ মাধ্যমিকের পর কেরিয়ার গড়তে চান? গ্র্যাজুয়েশন এমনকি বাঁধাধরা কেরিয়ার একদমই পছন্দ নয়। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা ভেবে দেখতে পারেন। অল্প সময়েই যদি চাকরির ইচ্ছে থাকে, তবে সম্পূর্ন নতুন এই ভাবনা কিন্তু একেবারেই সঠিক হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পারদর্শিতা দেখানোর লোকজনের অভাব নেই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যানালিস্ট অথবা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুদায়িত্ব সামলানো কিন্তু খুব একটা সহজ নয়। এইপ্রসঙ্গে, নিজেকে যথেষ্ট সৃজনশীল হতে হয়। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড প্রসঙ্গেও জানা দরকার। একজন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিস্ট এর মধ্যে ঠিক কি কি থাকা দরকার? উত্তর দিচ্ছেন ক্লাসলিডের কর্ণধার শাশ্বত মোদক।
প্রথম, নিজের ক্রিয়েটিভিটি সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব দরকার।
দ্বিতীয়, তথাকথিত কোনও ডিগ্রির আলাদা করে প্রয়োজন নেই। উচ্চমাধ্যমিকের পরেও এই নিয়ে কেরিয়ার করা সম্ভব।
তৃতীয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কী চলছে সেই প্রসঙ্গে হ্যাশট্যাগ এবং কি ওয়ার্ড জানা খুব দরকার।
চতুর্থ, ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল থাকতে হবে। যেকোনও ভাষায় খুব দক্ষ হতে হবে। তবেই সম্ভব।
তবে, বিশেষ কোনও কোর্সের প্রয়োজন অন্তত সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের জন্য নেই। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে? এই প্রসঙ্গে তাঁর কী মতামত?
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কোর্সের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, এও বললেন...কোনও ভাল জায়গা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স করা খুব ভাল প্রমাণিত হতে পারে। কারণ এতে অনেক কিছু শেখার আছে। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ভিন্ন অংশ সোশ্যাল মার্কেটিংয়ের।
তবে, হ্যা! এর কিছু অসুবিধাও আছে। অর্থাৎ বর্তমানে AI এর যুগে দিনদিন ডিজিটাল কিংবা সোশ্যাল মার্কেটিংয়ের ভাবনায় একটু হলেও ছেদ পড়েছে। আধুনিকতায় যদি সবকিছু হয়ে যায়, তবে মানুষের গুরুত্বটা কমে যায়। তাই, কিছু অসুবিধা তো রয়েছেই। কিন্তু ডিগ্রি বা বিরাট কিছুর প্রয়োজন নেই।
বর্তমানে কম্পিউটারের যুগে, মানুষের সুযোগ অনেকটাই কমেছে। শুধু তাই নয়, কম্পিউটারের দক্ষতা অনেকটা বেশি। তাঁর ক্রিয়েটিভ ক্ষমতাও বেশ জোরালো। একজন মানুষের পক্ষে এই ভাবনা আনাও খুব ঝামেলা। সুতরাং, নিজেকে একদম এই টু ডেট রাখতে হবে।