সেন্ট জেভিয়ার্স-র অধ্যাপিকার ইস্তফা প্রসঙ্গে বিতর্ক তুঙ্গে। তাঁর আপত্তিকর ছবি নিয়েই এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে চরম গণ্ডগোল। এই প্রসঙ্গে জেভিয়ার্সের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ জানিয়েছিলেন, একেবারেই সেই অধ্যাপিকাকে জোরজার করা হয় নি। তিনি নিজে থেকেই চাকরি ছেড়েছেন।
একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ফাদার ফেলিক্সের বক্তব্য, সে প্রবেশনাল পিরিয়ডে ছিল। দুই মাস মত এখানে সে পরিয়েছে। তারপর যে ধরণের ঘটনা ঘটেছে, অক্টোবর মাসে ও নিজেই পদত্যাগ করেছে। এদিকে সেই অধ্যাপিকা বারবার একই কথা জানিয়েছেন, রেজিস্টার এবং ফেলিক্স রাজের উপস্থিতিতে তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল এমনকি ধমকও দেওয়া হয়েছিল। আপত্তিকর ইঙ্গিত দিতেও খামতি থাকেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন < ‘পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না’, অধ্যাপিকার ইস্তফা কাণ্ডে অকপট জেভিয়ার্সের উপাচার্য >
কিন্তু এই অধ্যাপিকার অভিযোগের জেরে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করেছে সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। হয়তো ও নিজের কাজে নিজেই খুশি হচ্ছিল না। আমাদের জানিয়েছিলেন, তিনি কমিটির সঙ্গে কথা বলতে চায়। ওর সেই সিদ্ধান্তকে আমরা মান্যতা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন কেন উল্টো কথা বলছে, সেটা আমরা বুঝতেই পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগটিকে যাচাই করা হয়েছিল। একজন শিক্ষক এবং ছাত্রর মধ্যে এহেন সম্পর্কের গুরুতর অভিযোগ - এতে সন্দেহের প্রশ্নই আসে না।
ফেলিক্স রাজ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কখনই সেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনও চিঠি লেখা হয়নি। বরং তিনি নিজেই ইস্তফা দেন, এবং তাঁকে ফোন করলে তিনি সত্বর অ্যাকশন নেওয়ার কথা জানায়। এও জানিয়ে দিলেন ফেলিক্স, যে তাঁর নিজস্ব জীবন নিয়ে আগ্রহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। কিন্তু এটি পাবলিক হয়ে গেছে। অভিভাবকের তরফে অভিযোগ এসেছে। এটা যদি প্রাইভেট হয়, তাহলে আর কী বলা যায় বলুন?