সুইম সুট পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার জেরেই চাকরি খুইয়েছেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপিকা। তারপর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। এমনকি সেই অধ্যাপিকা জানিয়েছিলেন, জোর করেই তাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আর এই ঘটনার জেরেই এবার মুখ খুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ।
উপাচার্যের বক্তব্য, "আমাদের প্রতিষ্ঠানের একটা পবিত্রতা আছে, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কঠোর আচরণবিধি নেই। বরং এটা একজন শিক্ষকের মনে রাখা দরকার যে আমি একজন শিক্ষক। আমায় সেইমত আচরণ করতে হবে। এটা পবিত্র প্রতিষ্ঠান, সেখানে পবিত্রতা নষ্ট করা চলবে না। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শালীন ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এতে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের অনেক ক্ষতি"।
শুধু তাই নয়, তারসঙ্গে এও জানান এই অধ্যাপক একদা সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীও ছিলেন। কোনোভাবেই ওর ভাবমূর্তি, কেরিয়ার নষ্ট করার ইচ্ছে প্রতিষ্ঠানের নেই। ওর ছবিও কাউকে দেখানো হয় নি। এমনকি পুলিশকেও নয়। ফেলিক্স বলেন, "আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম। এও খতিয়ে দেখেছিলাম যে ওই ছবি গুলো আসলেই আমাদের অধ্যাপিকার নাকি অন্য কারওর। সে হ্যাঁ বলেছে। ৮ই অক্টোবর ও এর জন্য ক্ষমা চেয়েছিল, তারপর পুজোর ছুটি পড়ে যায়। ২৫ অক্টোবর ও নিজে থেকেই আমাদের ইস্তফা পাঠায়, আমরা সেটা গ্রহণ করেছি - এতে জোরাজুরির কোনও বিষয় নেই"।
অধ্যাপিকা জানিয়েছেন, তাকে নানা ভাবে কটূক্তি করা হয়েছিল এমনকি তার পোশাক নিয়েও নানান খারাপ কথা তাকে শুনতে হয়েছে। এই বিষয়ে উপাচার্যের বক্তব্য, 'আমার তো মনে হয় না এরকম কিছু হয়েছে। এমনকি ওর চিঠিতেও আমরা এরকম কিছু দেখিনি। ওর আমাকে বলা উচিত ছিল। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকসেস একজন ছাত্রকে দিয়েছেন, এটা ভুল নয়? একজন অভিভাবক কেন এগুলো মেনে নেবে? উনি নিজে সবটা স্বীকার করেছেন। আমাদের আচরণবিধি থাকলেও সেটা আমরা প্রয়োগ করি না। বরং বলি, শিক্ষার্থীদের কাছে আদর্শ হও'।
কিন্তু তিনি এও সাফ জানিয়ে দিলেন যেভাবে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করা হচ্ছে তাতে কিছুই করার নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয় একটা ব্র্যান্ড। সেই অধ্যাপিকার প্রতি একটুও অমানবিকতার পরিচয় দেওয়া হয়নি। সবাই তার সঙ্গে সদয় ছিল।