জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশদ্রোহী বার্তা দেয় না, বরং এখানে ভাবনা চিন্তার অনেক বদল ঘটে। পড়ুয়ারা আরও বেশি দূরদর্শী হয়ে ওঠে। দেশের এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে নানা সময়ে নানা ঘটনা দেখা গেছে। দেশবিরোধী কাজকর্মও হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে -চর্চা কম হয়নি। তবে এবার সেই নিয়েই মুখ খুলেছেন আচার্য ভি কে সারস্বত।
দেশের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অশান্তির জের। কিন্তু আচার্য বলছেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব চিন্তাভাবনা অনুশীলনের যথেষ্ট স্বাধীনতা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী কী ঘটছে সেই নিয়ে ওরা খুব সতর্ক। পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং চিন্তার প্রতিফলন ঘটে এখানে। মতাদর্শের সংঘর্ষ হতেও পারে। সেই কারণেই লোকজন ভাবতেন যে এখানে সমস্যা আছে"।
JNU নিয়ে উত্তেজনা সবসময় তুঙ্গে। সাম্প্রতিক কিছু সময় বাম, অ্যাফিলিয়েট ছাত্র সংগঠন এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কারণে বেশ কিছু ঘটনা নজরে এসেছিল। এই বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে রাম নবমী উপলক্ষে আমিষ খাবার নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তবে আচার্য জানিয়েছেন, ছাত্রদের এই নিয়ে প্রচুর স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু তাই বলে দেশবিরোধী কোনও কাজ কিংবা সার্বভৌমত্বে আঘাত লাগে - এরকম কিছু উৎসাহ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।
তবে ছাত্রদের অধিকাংশ এই বিষয়ে বুঝতে শিখেছেন। তারা এখন যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এই নিয়ে। বাড়ি থেকে নয় বরং নিজদের সৃজনশীলতায় বিশ্বাসী JNU এর পড়ুয়ারা।