করোনা মহামারীতে বছর দুয়েক পড়াশোনায় যথেষ্ট ছেদ পরেছে। সেই নিয়ে ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক মহলে আশঙ্কার রেশ। আজ এডুকেশন সামিট উপলক্ষেই শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, আগামী কুড়ি বছরে যারা দেশের ভবিষ্যৎ গড়বে, তাদের এই দুবছরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সুতরাং সবরকম সাহায্য তাদের প্রাপ্য।
শিক্ষার্থীদের শুধুই চাকরি করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজেদের পরিচিতি বানাতে লক্ষ্য সবসময় উঁচু রাখতে হবে- কর্মচারী নয় বরং নিয়োগকর্তার ভুমিকা বেছে নিতে হবে। শহর হোক কিংবা গ্রাম - সেই এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের ভবিষ্যতের দিনগুলিতে জোর দিতে হবে। তাদের দক্ষতা বিকাশের পথে সাহায্য করা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নয়া উদ্যোগ প্রয়োজন, বিজ্ঞানী কিংবা কৌশল বিদ্যার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়লেই ভাল। মোট কথা শিক্ষাক্ষেত্রে এক বিশ্বব্যাপী সমাধান দরকার।
এইসময়ে দাঁড়িয়ে তাদের অনেক ধরনের সাহায্য, এবং শিক্ষা বিষয়ক সতর্কতা প্রয়োজন। যে ধরনের গ্যাপ পড়েছে, তাতে যথেষ্ট নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করা দরকার। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে এই ব্যাবধান পূরণ করা খুব দরকার। মানুষকে দক্ষ করে তুলতে হবে। আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে ভারতের শিক্ষা সমাজকে অনুপ্রানিত করা বাধ্যতামুলক। দেশে ৩৫ কোটি ভারতীয় নানান ধরনের শিক্ষা ব্যাবস্থার অধিকারী। প্রযুক্তি হোক কিংবা নানান অ্যাক্টিভিটি - শিক্ষাকে উন্নত করে তুলতে হবে।
দেশজুড়ে নানান ভাষা এবং নানা সংস্কৃতি, তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দাবি কেবলমাত্র ভাষার কারণে কোনও ছাত্রই পিছিয়ে থাকতে পারে না। ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা একেবারেই নির্দিষ্ট কোনও ভাষার কারণে আবদ্ধ থাকতে পারে না। বরং তিনি প্রসঙ্গ টানলেন বিশ্বের বেশ কিছু দেশেরও- বক্তব্য, একমাত্র ভারতেই ইংরেজি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাকিরা নিজেদের মাতৃভাষাকেই শিরোধার্য বলে মনে করেন।