প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হতে গেলে পড়ুয়ার বয়স হতে হবে ৬ বছর। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্কুলের তরফে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির বয়স ৫ থেকে ৬ বছরের অন্তর্বর্তী রাখতেই পিটিশন দায়ের করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে খারিজ করা হয়েছে এই আবেদন।
বিচারপতি এস কে কাউলের ডিভিশন বেঞ্চ এই আর্জি খারিজ করেছে। দিল্লি হাইকোর্টেই দায়ের করা হয় এই পিটিশন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হতে গেলে ছয় বছর হতেই হবে পড়ুয়ার বয়স। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের যুক্তি অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
RTE অ্যাক্ট ২০০৯ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে আলাদা স্থানে রাখা হয়েছে। যার অর্থ সারাদেশে যত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শাখা থাকবে তারা একই নিয়মে স্কুল পরিচালনা করবে। এমনকি স্কুলের পোশাকও একই থাকবে। নিজস্বভাবে চাইলেই বয়সের মানদণ্ড হেরফের করা যাবে না। NEP, ২০২০ অনুযায়ী ৬ বছর বয়সের মানদণ্ড, যে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের উদ্বেগের কারণ, তা ভালভাবে বোঝা যায়। ১৩ই এপ্রিল ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করেছে এই আপিল। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে সহমত রেখেই একক বেঞ্চ জানায়, ২০২০ সালের নির্ধারিত নীতি অনুসরণ করে দিল্লির অনেক স্কুল এখনও কাজ করে না। বর্তমানে দেশের ২১ টি রাজ্যে এটি কার্যকর করা হয়েছে।
এছাড়াও স্পেশ্যাল লিভ এর আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। বিচারকদের মন্তব্য, অন্যান্য আবেদনকারীদের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অন্য আরেকটি চিঠি দিয়েই মামলা দায়ের করতে হবে। আমরাও তাতে সহমত জানিয়েছি। ঠিক সেই নিয়ম মেনেই পরবর্তী কাজ হবে।