গত কয়েক বছরে দেশে বিদেশে হোমস্কুলিংয়ের প্রবণতা অনেক বেড়েছে। কোভিড সময়কালে বেশিরভাগ স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাড়িতেই পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন হাজার হাজার পড়ুয়া।
অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রথম দিকটাই নানান সমস্যা পোহাতে হয়েছিল পড়ুয়াদের। ধীরে ধীরে তারা অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তবে সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকাও কিন্তু কম নয়। গত দুবছর বাচ্চাদের শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন অভিভাবকরাই।
অনেকেই বলেছেন তাদের সন্তানদের বাড়িতে পড়াশুনার ক্ষেত্রে প্রথম দিকে কিছু সমস্যা হলেও পরে তা ধীরে ধীরে কেটে যায়। তবে বাড়িতে শিশুদের স্কুলের মতো পরিবেশ দেওয়া সহজ নয়। এ জন্য অভিভাবকদেরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
হোমস্কুলিংয়ের সুবিধা এবং অসুবিধা দুই-ই রয়েছে। আপনি যদি আপনার বাচ্চাদের হোমস্কুলিংয়ের মাধ্যমে শেখাতে চান তবে আপনাকে এর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত কিছু জানতে হবে। একই সময়ে, আপনার এটাও জানা উচিত যে হোমস্কুলিংয়ের জন্য, আপনাকে আপনার সময়সূচীও পরিবর্তন করতে হবে।
আরও পড়ুন: < অদম্য জেদকে সঙ্গী করেই প্রতিবন্ধকতাকে হেলায় হারিয়েছেন, স্কুল কামাই ডায়েরিতেই স্যারের >
হোমস্কুলিং কী?
হোমস্কুলিং মানে বাবা-মায়েরা সন্তানের স্কুলে পড়াশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়। হোমস্কুলিংয়ে, বাবা-মায়েরা বাড়িতে বাচ্চাদের শেখান এবং এর জন্য তারা বইয়ের পাশাপাশি ভিডিও এবং অন্যান্য জিনিসের সাহায্য নিতে পারেন। আপনি যদি সন্তানের জন্য হোমস্কুলিংয়ের বিকল্পটি বেছে নেন, তবে আপনি তার বয়সের ভিত্তিতে ক্লাসে ভর্তি হতে পারেন। আপনাকেও তাকে পরীক্ষা দিতে হবে, যার ভিত্তিতে সে এগিয়ে যেতে থাকবে।
দুই বছরের মধ্যে তাদের অভিভাবকরা হয়ে উঠেছেন শিশুদের নতুন শিক্ষক এবং অনেক ক্ষেত্রেই ভাই-বোন হয়ে উঠেছে তাদের গেম টিচার। যাইহোক, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে, বিষয় অনুসারে ছোট বাচ্চাদের শেখানোর এবং ক্লাস আয়োজনের এই প্রক্রিয়া চলছে আজকাল। একইভাবে করোনার সময়ে নিজের বাড়িটাই হয়ে উঠেছে শিশুদের স্কুল। মা-বাবারাই তাদের শিক্ষকও।
শিক্ষার শুরুটি সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়। কারণ ছোট বাচ্চাদের শুরু থেকেই সব কিছু বোঝানো এবং শেখানো খুবই কঠিন কাজ। এক অভিভাবকের কথায় বেশিরভাগ অভিভাবকের পক্ষেই এই কাজ বেশ কঠিন। চার্ট, খেলনা দিয়ে শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার কাজ বেশ কঠিন । তাও কোভিড কালে বাবা-মায়েরাই হয়ে উঠেছিলেন বাচ্চাদের সেরা শিক্ষক।
দিল্লির বাসিন্দা বৈভব মেহতা এবং প্রিয়াঙ্কা মেহতা বলেন যে বাবা-মা, দাদু-ঠাকুমা, বাড়ির সমস্ত বড়রা বাচ্চাদের শিক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন কোভিড কালীন সময়ে। একই বাড়িতে এই শিশুদের খেলাধুলা শেখানোর দায়িত্ব বড় ভাই-বোনের। এ ছাড়া ঘরের ভেতরে দিনের বেলায় দাবা খেলাও শেখানো হচ্ছে এসব শিশুদের। নতুন প্রজন্মের কিছু শিশু রয়েছে যারা ইতিমধ্যে অনলাইন টিউটরিং নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।