Advertisment

করোনা যোদ্ধা শিক্ষকরাও, বেতন কাটা নিয়ে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

"সামগ্রিক ভাবে শিক্ষকদের বেতন কাটা বা ছাঁটাই করা অযৌক্তিক। প্রতিবাদ করলে স্কুল থেকে বহিষ্কারের হুমকিও পেতে হচ্ছে শিক্ষকদের।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কোভিড-১৯ আবহে বেসরকারি স্কুলে বেতন সমস্যায় ভুক্তভোগী হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। লকডাউন শুরুর সময় থেকেই এই সমস্যা গভীরতর হতে শুরু করে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট বলে, শিক্ষকরাও করোনা যোদ্ধা। প্রতিদিন নিয়ম করে শিক্ষর্থীদের পড়াচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু বেতন না পাওয়ায় এই পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।

Advertisment

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং সুব্রহ্মণ্যন প্রসাদের একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি। এই বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জায়গায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও বেতন পাচ্ছেন না।

লকডাউনের মধ্যে ইচ্ছেমতো বেতন কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের পথে হাঁটার ভাবনাচিন্তা করছেন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। একাধিক অভিযোগ নিয়ে গত বুধবার রাস্তায় নেমেছিলেন শিক্ষকদের একাংশ। শুধু বেতন কমানোই নয়, কিছু বেসরকারি স্কুল শিক্ষকদের ছাঁটাইও করছে। বিশেষ করে গান, আবৃত্তি, আঁকা বা খেলার শিক্ষকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। একাধিক ক্লাস, অনলাইন নোট, অনলাইন পরীক্ষা যাবতীয় সব কিছু করার পরও ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ বেতন কাটা হচ্ছে শিক্ষকদের।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষদের কাছে অনুরোধ করেন, স্কুলের ফি বৃদ্ধি না করতে। অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষদের দাবি, স্কুল চালাতে যে খরচ হয়, সেই খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আগামীদিনের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক ছাত্রছাত্রীর ফি এখনও জমা পড়েনি। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে কিংশুক দাসের অভিযোগ, “অভিভাবকদের কাছ থেকে বেতন নিয়েও শিক্ষকদের বেতন ঠিকমতো দিচ্ছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়ার অভিভাবকদের মধ্যে হয়তো দু'একজন নিরুপায় হয়ে কম বেতন দিয়েছেন, বা দিতে পারেননি। তার জন্য সামগ্রিক ভাবে শিক্ষকদের বেতন কাটা বা ছাঁটাই করা অযৌক্তিক। প্রতিবাদ করলে স্কুল থেকে বহিষ্কারের হুমকিও পেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এই পরিস্থিতি আর বেশিদিন চললে শিক্ষকদের এবার পথে নেমে আন্দোলনের কথা ভাবতে হচ্ছে। কারণ কলকাতার বাইরে এমন অনেক বেসরকরি শিক্ষক আছেন যাঁদের শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য পেশার কথা ভাবতে হচ্ছে।”

শিক্ষকদের একাংশের আরও অভিযোগ, "কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে অবস্থিত ‘নামী’ স্কুলগুলি এখন খোলামেলাভাবে টিচারদের ছাঁটাই ও মানসিক নির্যাতনের পর্যায়ে নেমে এসেছে। প্রশ্ন তো করাই যাবে না, করলেই ছাঁটাই ও সোজাসুজি ‘পাগল’ বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Read the full story in English

Education
Advertisment