'স্বচ্ছ নয় নতুন শিক্ষানীতি, সারা দেশে প্রযোজ্য হতে পারে না'
প্যানেলের সদস্যরা প্রায় ১০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ২৩ শে আগস্ট উচ্চশিক্ষা বিভাগে জমা দিয়েছে তবে রাজ্য এখনও শিক্ষানীতি সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানাতে পারেনি।
নতুন শিক্ষানীতি বহু ক্ষেত্রে যথাযথ নয় বাংলায়। এমনটাই জনিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গঠিত কমিটি। যাদের উপর নতুন শিক্ষানীতি পর্যবেক্ষণের ভার দিয়েছে রাজ্য। রবিবার কমিটির সদস্যরা জানিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ভিন্ন ভাবধারায় গঠিত। তাদের ঐতিহ্য আলাদা। সেক্ষেত্রে নতুন শিক্ষানীতি সর্বস্তরে প্রযোজ্য নয়।
Advertisment
কমিটির সদস্যেদের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারত বিশাল দেশ। যেখানে আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিস্তীর্ণ। সমস্ত রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে একটি শিক্ষানীতি ব্যবস্থা প্রয়োগ করা যায় না।
এক সংবাদ সংস্থাকে কমিটির এক সদস্য বলেন, “নতুন শিক্ষা নীতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য যেমন দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা পুনর্গঠন করা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার করার বিষয়ে অভাব রয়েছে। ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে ভাষাগত ঐতিহ্য ও রীতিনীতিকে পাশে রেখে সমস্ত রাজ্যে অভিন্ন শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া যথাযথ নয়”।
তিনি বলেন, "মণিপুরের ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য হতে পারে, যা পাঞ্জাবের প্রাসঙ্গিক তা পশ্চিমবঙ্গ বা তামিলনাড়ুতে বোধগম্য নয়।"
গত মাসের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এনইপিকে অনুমোদন দেয়। এরপরে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাবিদের ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। প্যানেলে কমিটির সদস্যরা যে তথ্য তুলে দেবে রাজ্য সরকারের হাতে সেই তথ্যের ভিত্তিতে মতামত জানাবে মমতার সরকার।
প্যানেলের সদস্যরা প্রায় ১০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ২৩ শে আগস্ট উচ্চশিক্ষা বিভাগে জমা দিয়েছে তবে রাজ্য এখনও শিক্ষানীতি সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানাতে পারেনি।