/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/biplab-deb-7591.jpg)
বিপ্লব কুমার দেব
স্কুল বইয়ে দেশজ নেতার নাম এত কম, তার বদলে রয়েছে সোভিয়েত নেতাদের কাহিনী, এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। বিপ্লব দেব জানিয়ে দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়িই এ সিলেবাস থেকে তিনি মুক্তি দিতে চান ত্রিপুরার পাঠক্রমকে। মহাত্মা গান্ধী, বাল গঙ্গাধর তিলক, সুভাষ চন্দ্র বোস, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কথা মনে রেখে নতুন করে তৈরি হবে সিলেবাস।
গান্ধীজির সার্ধশতবর্ষ এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাষণে বিপ্লব দেব বললেন, "স্কুল-কলেজের সিলেবাস নিশ্চয়ই কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের তৈরি করা। আজকাল স্কুলপাঠ্যগুলোয় ভারতীয় ইতিহাস সম্বন্ধে প্রায় কিছুই থাকে না। লেনিন-স্তালিন-অবিভক্ত সোভিয়েত রাশিয়া- রুশ বিপ্লব, ইতিহাস জুড়ে শুধুই এসব। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে এনসিইআরটি পাঠক্রম চালু করতে চলেছে আমাদের সরকার"।
আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভাই অটোচালক, আরেক ভাইয়ের মুদি দোকান রয়েছে: বিপ্লব দেব
চলতি বছরের জুন মাসে ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছিলেন, শিক্ষার নিরিখে খুবই পিছিয়ে রয়েছে তাঁদের রাজ্য। পরিস্থিতি বদলাতে রাজ্যের সব স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিইআরটি পাঠক্রম চালু করার কথা তখনই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন রাজ্যে এনসিইআরটি পাঠক্রম চালু করার কাজটি ইতিমধ্যে স্টেট কাউনসিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ (এসসিইআরটি) -কে অর্পণ করা হয়েছে।
এর আগে ত্রিপুরায় সিপিআইএম সরকার ২০০৮ সালে পাঠক্রমে বদল এনেছিল। তার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এনসিইআরটি ধাঁচ’। বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল সে পাঠক্রমটি।
২০১৮ সালের ত্রিপুরা মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছিল পড়ুয়াদের পাশের হার ৫৯.৫৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৭.৭৯ শতাংশ কম।
গত জুন মাসে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় অভিযোগ করেছিলেন, সে রাজ্যের ইতিহাস বইতে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে, কিছু ইতিহাস চাপাও দেওয়া হয়েছে।