দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)।
বৃহস্পতিবার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ইউজিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "সব প্রতিষ্ঠানের এনসিসি বিভাগের তরফ থেকে সেদিন বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা উচিত। প্রাক্তন ভারতীয় সেনাদের নিয়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা উচিত, যাতে পড়ুয়ারা জানতে পারে আমাদের দেশের সেনারা কত কৃচ্ছ্রসাধন করেন"।
সার্জিকাল স্ট্রাইকের ২ বছর 'উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজধানীতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে একটি মাল্টি মিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর আয়োজন হয়েছে প্রতিটি রাজ্য-অঙ্গরাজ্যে। ছাত্রছাত্রীদের সে সব প্রদর্শনী ঘুরে দেখার জন্য উৎসাহ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।
আরও পড়ুন, ভারতের পতাকা ছিড়লেই পনেরো হাজার, এই প্রস্তাবে কী করলেন পাকিস্তানিরা?
সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস 'উদযাপন'-এর অংশ হিসেবে পড়ুয়ারা ডিজিটাল অথবা অন্য মাধ্যমে চিঠি লিখে, কার্ড দিয়ে শুভকামনা জানাতে পারে ভারতীয় সেনাকে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ব্যাপারেও যেন ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সে সমস্ত বার্তা আম জনতার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে গণ মাধ্যমে। সমালোচকরা যদিও বলছেন, সবই আসলে' শিক্ষার গৈরিকীকরণ'-এর প্রচেষ্টা।
২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেসক্যাম্পের ওপর চলেছিল জঙ্গি হামলা, অভিযোগের আঙুল ওঠে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ‘জইশ-ই-মহম্মদ’-এর দিকে। তারপর ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার (সার্জিকাল স্ট্রাইক) দাবি ওঠে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একে বলা হয় সন্ত্রাস দমনে 'সার্জিকাল স্ট্রাইক'-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে চলে যুদ্ধের প্রস্তুতি। শেষমেশ যুদ্ধ না লাগলেও চরমে পৌঁছয় দু’দেশের তিক্ততা।