লকডাউনের পর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পঠনপাঠন কেমন হবে তাই নিয়ে নতুন করে গাইডলাইন প্রকাশ করল ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)। কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী, বেশ কিছু এলাকায় জারি থাকবে ডিজিটাল মাধ্যমে পড়াশোনা, ফ্যাকাল্টি ট্রেনিং, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আগস্ট মাস থেকে কলেজ পড়ুয়াদের ও নতুন ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে।
ইউজিসি প্যানেলের সুপারিশ অনুসারে, লকডাউনের পর বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে সপ্তাহের ছয় দিন ক্লাস করাতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ল্যাবরেটরিতে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরীর মাধ্যমে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
ইউজিসি দেওয়া পরামর্শগুলি হলো-
* বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলিকে ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই এর মধ্যে তাদের ফাইনাল সেমিস্টার শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই মাসের শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে পারে।
* দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ১৬ থেকে ৩০ শে জুলাই এর মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ১৪ আগস্টের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ।
* বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে পরীক্ষা ও মূল্যায়নের জন্য অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সময়কাল তিন ঘন্টা থেকে কমিয়ে দু'ঘণ্টা করা হবে। উল্লেখ্য এটি এককালীন পদক্ষেপ।
* বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পড়াশোনা করাতে পারে। সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ও কর্মীদের প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইউজিসি প্যানেলের নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
* প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ইনফরমেশন কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিষয়ে ও অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পঠনপাঠনের ২৫ শতাংশ অনলাইন মাধ্যমে সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাকি পঠনপাঠন আগের নিয়মে ক্লাসরুমেই হবে।
* অধ্যাপক কর্মী ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছেড়ে যদি অন্য কোথাও যায়, সে বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।
* প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় করোনা পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ সেল গঠন করবে। পরীক্ষা ও একাডেমিক অ্যাক্টিভিটিসের সময় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও কোনরকম সমস্যা দেখলে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করবে বিশ্ববিদ্যালয় এই অভ্যন্তরীণ কোভিড - ১৯ সেল।
Read the full story in English