করোনাতঙ্ক কাটিয়ে খুলছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ থাকবে, প্রশ্ন ছিল পড়ুয়া-অভিভাবকদের। এবার দেশের সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইন প্রকাশ করল ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে পর্যায়ক্রমে খোলা হবে কলে-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। শুরুতে গবেষণা, স্নাতকোত্তর এবং অন্তিম বর্ষের স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মোট পড়ুয়া সংখ্যার অর্ধেককে ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল করোনা পরিস্থিতির জন্য। গত মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে অক্টোবর ১৫ তারিখ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। পাঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যেই দীপাবলির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইউজিসি কোভিড প্রোটোকল মেনে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ঢোকার ছাড়পত্র দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে, যাতে সপ্তাহে ৬ দিন পঠনপাঠন জারি রেখে এবং পড়ানোর সময় বাড়িয়ে শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে। পড়ুয়া, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য ক্যাম্পাস চত্বরে মাস্ক বাধ্যতামূলক। পড়ুয়াদের উপস্থিতি নিয়ে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়া যাতায়াতের সমস্যার কারণে অনলাইন ক্লাস করতে পারে।
আরও পড়ুন করোনা সংক্রমণ রুখতে জীবাণুনাশক বন্ধের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
আবাসিকরা হস্টেলে থাকতে পারবেন প্রয়োজন বুঝে। কিন্তু রুম শেয়ার করা যাবে না। কোনও পরিস্থিতিতেই উপসর্গ আছে এমন পড়ুয়ারা হস্টেলে থাকতে পারবেন না। তাঁদের জন্য আইসোলেশন এবং সেই পড়ুয়াদের সংস্পর্শে যাঁরা আসবে তাঁদের জন্য কোয়ারেন্টাইন পরিষেবা ক্যাম্পাসে রাখা বাধ্যতামূলক। এর জন্য সরকারি হাসপাতাল বা স্বীকৃত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পানীয় জল, খাবার, স্বাস্থ্য সুরক্ষার সমস্ত বন্দোবস্ত থাকতে হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন