বিগত দুইমাস ধরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তোলপাড় চারিদিক। ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের প্রাণ হাতে নিয়েই দেশে ফিরতে হয়েছে। তাদের শিক্ষা এখনও অসম্পূর্ন, ফলেই ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় সকলেই। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলি থেকেই চিঠির মাধ্যমে আর্জি জানানো হয়েছে। প্রতিটি দেশই যেন তার নিজেদের নাগরিক তথা পড়ুয়াদের কিছু সুযোগ করে দেয় এমনটাই বক্তব্য তাদের। বিশেষ করে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ক্লিনিকাল এক্সপারটাইস কিংবা ব্যবহারিক বিষয়ে জ্ঞান রাখা দরকার - এতে তাদের দক্ষতা আরও বাড়বে। এবং সঙ্গেই সেমিস্টারের অংশ হিসেবে একে ধার্য করা হয়।
ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তের দেশগুলি অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও এই প্রশিক্ষণ সেইভাবে সম্ভব নয়। ভারতের বুকে এই নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে, নিজের দেশেই তারা প্রাইভেট ক্লিনিক কিংবা ইন্টারশিপের মাধ্যমে নিজেদের ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। তবে নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এবার আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। ডিনিপ্রো স্টেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে থিওরি পড়ানো হলেও ব্যবহারিক বিষয়টি একেবারেই সম্ভব নয়। তাই দয়া করে ২০২১-২০২২ এর স্প্রিং সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের দেশে ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ করে দিন।
আবার অন্যদিকে ভি এন খারকিভ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিন্ন দেশের সরকারের উদ্দেশ্যে ছাত্র ছাত্রীদের সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা যদি মেডিক্যাল ফর্মে কোনও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সাক্ষর যুক্ত নিজেদের ব্যবহারিক শিক্ষার প্রশংসাপত্র জোগাড় করতে পারে, তবে সেটি পরীক্ষার অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে - এমনকি সেমিস্টারে সেটিকে যোগ করা হবে। ছাত্রদের সম্পূর্ন স্বাধীনতা রয়েছে নিজেদের প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এমন ক্লিনিক থেকেও প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে।
ছাত্রদের বেশ কিছুদের বক্তব্য, স্থানীয় কিছু হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক থেকেই ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে তাদের। এক ছাত্র জানালেন, কেউ কেউ টাকা নিচ্ছেন এই ক্ষেত্রে আবার কেউ কেই বিনা পয়সায় সুযোগ করে দিচ্ছে, তবে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নয়ডার নিক্স মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাদের হাসপাতালে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে যাতে তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখাতে পারে, শিক্ষা সম্পূর্ন করতে পারে।
অন্যদিক আরেক ছাত্র কনিস্কের বক্তব্য, একটু শান্তি লাগছে, তার কারণ ক্লাস হলেও আমাদের শিখতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল, ব্যবহারিক জ্ঞানের অভাব ছিল, এবার সমস্যার সমাধান হবে বলেই আশা করছি।