স্রোতের বিপরীতে হেঁটে রবীন্দ্র ভারতী এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, এবার সেই দলে যুক্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৫টি কলেজেই এই সিদ্ধান্ত লাগু করা হবে।
শুক্রবার, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, সোনালী চক্রবর্তী বন্দোপাধ্যায় জানান, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর - দুই পর্যায়েই অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্নাতক স্তরের চেয়ারপারসন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা মিলেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। সামনেই ২৭শে মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এবং ৩ জুনের সিন্ডিকেট সভায় সেই সম্পর্কে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমস্ত সদস্যের অনুমতি নিয়েই অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্যানেল। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্ক রয়েছে তাদের। এমনকি কলেজের অধ্যাপকরা যথেষ্ট খুশি এই বিষয়ে, তাদের বক্তব্য এইভাবে অফলাইন পরীক্ষা হতে হতে ওরা পিছিয়ে পড়ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। কবে, কোনদিন পরীক্ষা হবে সেটি সিন্ডিকেট মিটিংয়ের পরেই জানা যাবে।
গত দুই বছরে অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমেও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্টে চূড়ান্ত অবস্থা দেখা যায়। ফার্স্ট ক্লাসের সংখ্যা যেমন বাড়ে, তেমনই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ছাত্রদের গড় মান দেখে সকলেই তাদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। যদিও এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের তরফে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এর আগে RBU এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্তের পরেই ক্যাম্পাসে আন্দোলন করে। তাদের দাবি, সিলেবাস শেষ হয়নি, প্রাক্টিকাল সেভাবে হয়নি - তাই অফলাইন পরীক্ষা দিতে তারা নারাজ। রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য ঘেরাও নিয়েও তীব্র নিন্দা করেছেন অনেকেই। যাদবপুরেও হবে অফলাইন পরীক্ষা, সেখানে অধ্যাপকরা জানিয়েছিলেন অনলাইনে পরীক্ষা হলেই সমস্ত কার্যকলাপ থেকে সরে যাবেন তাঁরা।