New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/upsc-toppers.jpg)
বাঁ দিক থেকে পরীক্ষায় প্রথম কনিশক কাটারিয়া এবং পঞ্চম স্থানাধিকারী শ্রুস্টি দেশমুখ
কেউ কেউ ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট। তাই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই যারা সোশাল মিডিয়ায় চোখ রেখেছেন তালিকার প্রথম দিকে থাকা প্রার্থীদের দেখবেন বলে, তাঁরা নিশ্চয়ই হতাশ হয়েছেন।
বাঁ দিক থেকে পরীক্ষায় প্রথম কনিশক কাটারিয়া এবং পঞ্চম স্থানাধিকারী শ্রুস্টি দেশমুখ
দেশের অন্যতম কঠিন চাকরির পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)। সম্প্রতি ২০১৮ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সাফল্যের শীর্ষে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সোশাল মিডিয়া থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন অধিকাংশরাই।
মেধা তালিকার শীর্ষে থাকা প্রার্থীরা জানিয়েছেন, পরীক্ষার প্রস্তুতিপর্বে মনঃসংযোগ যাতে নষ্ট না হয়, তাই নিজেদের সোশাল মিডিয়া থেকে দূরেই রেখেছেন তাঁরা। কেউ কেউ ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট। তাই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই যারা সোশাল মিডিয়ায় চোখ রেখেছেন তালিকার প্রথম দিকে থাকা প্রার্থীদের দেখবেন বলে, তাঁরা নিশ্চয়ই হতাশ হয়েছেন।
তালিকার শীর্ষে থাকা জয়পুরের কনিশক কাটারিয়া বললেন, "আমার কাছে এসব সময় নষ্ট বলেই মনে হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার অ্যাকাউন্ট আমি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলাম। ইন্সটাগ্রামে ছিলাম, কিন্তু সেটাও খুব কম চেক করেছি। নিজের খুব ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি সেক্ষেত্রেও"।
আরও পড়ুন, পাঁচ নম্বরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ স্থানে যাদবপুর
চতুর্থ স্থানে থাকা শ্রেয়াংশ কুমাতেরও একই বক্তব্য। সর্বভারতীয় র্যাঙ্কিং-এ ১৭ নম্বরে থাকা রাহুল শারানাপ্পা সাঙ্কানুর জানালেন তিনি স্মার্টফোন পর্যন্ত ব্যবহার করতেন না। "এখন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা শুরু করলাম"।
তন্ময় বশিষ্ঠ (তালিকার ১০ নম্বরে থাকা) বললেন, "আমি টুইটারে ছিলাম না, কিন্তু ফেসবুকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতো কিছু সংবাদপত্র ফলো করেছি"।
জয়পুরের অখশত জৈন জানালেন, "কিছু স্টাডি গ্রুপ ফলো করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের কিছু গ্রুপ নিয়মিত ফলো করেছি। আমি কোনোদিন তেমন কিছুই পোস্ট করিনি ফেসবুকে। টানা কয়েক ঘণ্টা পড়াশোনার পর মিনিট পাঁচেকের বিনোদন ছিল ফেসবুক"।
অনেকেই বেসরকারি ক্ষেত্রে লোভনীয় চাকরী ছেড়ে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রথম স্থানাধিকারী কাটারিয়াই দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাং-এ চাকরি করতেন এক বছরেরও বেশি সময়। পুজা প্রিয়দর্শিনী চাকরি করতেন বহুজাতিক সংস্থা পিডব্লিউসিতে। তন্ময় বশিষ্ঠ ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্বের আগে চাকরি করতেন গোল্ডম্যান স্যাক্স-এ।
Read the full story in English