‘ভারতে সরকার বিরোধী’ কাজের অভিযোগ। দেশ ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি পড়ুয়াকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে ভিসার নিয়ম ভাঙার জন্যই আফসারা অনীকা মীমকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে সিএএ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল বিশ্ববভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাও। পড়ুয়াদের সেই প্রতিবাদেই যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা আফসারা অনীকা মীম। যার ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট-ও করেছিলেন ওই পড়ুয়া।
তারপরই গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি পড়ুয়া আফসারাকে ভারত ছাড়ার নোটিশ পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। সেই দিন থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে এ দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করে বৃহস্পতিবার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কে টি ভুটিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আফসারা অনীকা মীম। প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে বৈঠক।
বেঠকে কী হল তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি বিশ্বভারতীর ওই বাংলাদেশি পড়ুয়া আফসারা।
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের ‘ওষুধ দিতে’ বাইক বাহিনীকে ‘নির্দেশ’, বিশ্বভারতীকাণ্ডে উপাচার্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্র নোটিশ দিয়ে ওই পড়ুয়াকে জানিয়েছিল, 'আফসারা অনীকা মীম বাংলাদেশি নাগরিক। বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছেন। তাঁকে ভারতের সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। যে ভিসায় তিনি এদেশে এসেছেন তা এই জাতীয় কার্যকলাপকে মাণ্যতা দেয় না। যা ভিসা লঙ্ঘন বলেই গণ্য হচ্ছে।'
এই ইস্যুতে কোনও কথা বলতে রাজি হননি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও বিষয় তারা জানে না এবং ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সঙ্গে কথা বলার পর ভারত ছাড়ার নোটিশপ্রাপ্ত ওই বাংলাদেশি পড়ুয়াও হাই কমিশনে যোগাযোগ করেননি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন