এবছর মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার। তৃতীয় হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের চোরপালিয়া স্কুলের ছাত্রী দেবশিখা প্রধান, সপ্তমে সায়ন্তন মাইতি, অষ্টম স্থানে ঈশিতা সামন্ত, দশম হয়েছেন তন্নিষ্ঠা দাস। ৬৯১ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেবশিখা। এই সাফল্যে কতটা উচ্ছ্বসিত সে?
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা আর তাতেই এমন সাফল্য। পরিবারের খুশি এবং দেবশিখার নিজের উচ্ছাস যেন বাঁধন ছাড়া। বললেন, “আমি খুব খুশি। পড়াশোনা করেছি মন দিয়ে। ভীষণ ভাল লাগছে”। কৃতিত্ব দিলেন AIMS এর বইকে। এই বইয়ের অনেক অবদান। এই বই-ই তাঁকে অনুপ্রেরনা জাগিয়েছে। পড়াশোনায় পথ অনেক সহজ করেছে। নিজে হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন কাছের মানুষেরা। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় দেবশিখা। লিখতেও ভালবাসে সে, গান শোনাও অন্যতম শখ। কাছের মানুষরা বলছেন, পরিশ্রমের ফল পেয়েছে।
এদিকে রেজাল্ট শুনে বিশ্বাসই করতে পারছেন না সায়ন্তন মাইতি। সায়ন্তন মাইতি ৬৮৭। মায়ের কাছ থেকেই নিজের অবিশ্বাস্য ফলাফল শুনে অবাক কাথির সপ্তম স্থানাধিকারি সায়ন্তন। বলছেন, “আমি নিজে থেকে বিশ্বাসই করতে পারিনি। ইতিহাস পরীক্ষা খুব খারাপ হয়েছিল, এত নম্বর পাব আশা করিনি। তবে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে আছে”। মানুষের সেবা করতে চান। এ রাজ্যের মানুষকে চিকিৎসার খাতিরে উড়িষ্যা কিংবা দক্ষিন ভারতে যেতে হয়। সেই ক্ষেত্রেই বদল আনতে চান সায়ন্তন। পড়াশোনা ছাড়াও ছবি আঁকতে ভালবাসে সে।
আরও পড়ুন [ WBBSE Class 10 Madhyamik results 2022: মাথা গুঁজে পড়েনি, তাতেই বাজিমাত মাধ্যমিকে মেয়েদের প্রথম কৌশিকীর ]
অষ্টম স্থানাধিকারি ঈশিতা সামন্তও নিজের সাফল্যে আনন্দিত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। বাবা মায়ের অবদান ভোলার নয়। বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নিয়েও জানালেন ঈশিতা। পরবর্তী জীবনে ডাক্তার হতেই চায় সে। বললেন, পড়াশোনা নিজের হাতে, নিজেকেই পড়তে হবে। দিনে ছয় সাত ঘণ্টা পড়তে হত। তবে সমান তালেই এক্সট্রা কারিকিউলারেও সমান সময় দিয়েছেন ঈশিতা। অন্যদিকে দশম স্থান অধিকারী তন্নিষ্ঠা দাসের বাড়িতে খুশির রোশনাই, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর। আত্মীয় স্বজনের ভিড়, পরিবারে খুশির ঝলক। মিষ্টি খাওয়াতেই ব্যাস্ত কাছের মানুষেরা। কঠোর পরিশ্রমের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সকলে।