রবিবার রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্কের। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ গণিত বিভাগের বেশ কয়েকটি মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের উত্তরের অপশনগুলিতে ভুল উত্তর দেওয়া ছিল, যার সঙ্গে প্রশ্নের কোনও সম্পর্কই নেই। ক্যাটেগরি ওয়ানের দুটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে দাবি করেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এমনকী ডি সেট প্রশ্নপত্রের ৩১ নং ত্রিকোণমিতি এবং ৪৩ নং জ্যামিতির প্রশ্নে ভুল ছিল, এমনটাই দাবি পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের।
দক্ষিণ কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠান ফিটজি (FIITJEE)-র শিক্ষক সর্বজিৎ কুমার বলেন, "৩১ নং এবং ৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল। প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরের কোনও মিল নেই। এরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের নার্ভাস করে তোলে। এছাড়াও অযথা সময়ও নষ্ট হয় তাঁদের।" উল্লেখ্য, ভুল প্রশ্নগুলির সঠিক এবং সম্ভাব্য উত্তর দিয়েছেন এই শিক্ষক।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/jee1.jpg)
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/jee2.jpg)
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/jee3.jpg)
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/jee4.jpg)
এমনকী, এই একই প্রশ্ন এসেছে সেট সি প্রশ্নপত্রেও। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থী আকাঙ্খা মিত্র বলেন, "আমি খুবই আশাহত এবং নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম প্রথম প্রশ্নটি দেখেই। আমি উত্তরের সঙ্গে আমার উত্তরের কোনও মিলই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অঙ্কের প্রশ্নপত্রটি খুবই দীর্ঘ ছিল। এরকম ভুল প্রশ্ন পড়ুয়াদের আতঙ্কিত করে তোলে। আমি এখন আপশোস করছি এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য কেন এতটা সময় নষ্ট করলাম।"
তবে, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেছেন যে বোর্ড সরকারিভাবে সমস্ত কথাবার্তার পর পরবর্তী কী করণীয় তা তাঁরা ঠিক করবেন। প্রসঙ্গত, এ বছরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮৮ হাজার ৮০০ জন। গতবছরের নিয়েম মেনে এ বছরও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করার পরই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বের করতে হয়েছে।
Read the story in English