ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আয়োজিত ই-আড্ডায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে কথা বলেন। আলচনায় আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, "শিক্ষাবিদ এবং গবেষকরা জানিয়ছেন, তিন থেকে ছয় বছরের মধ্যে বাচ্চাদের ভাষা শেখার দক্ষতার ভিত গড়ে যায়। মাতৃভাষায় লোখাপড়া করতে পারলে সকলেই আনন্দিত হয়। তাই ভারতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হোক। কিছু রাজ্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃ ভাষায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানোর সুপারিশ করেছে"।
তিনি আরও বলেন," কিছু মানুষ মনে করেন আমরা ইংরেজি শিক্ষার বিরুদ্ধে। কিন্তু, আমাদের সংবিধানে আছে, দেশের ২২ টি ভাষার প্রতি জোর দিতে হবে। ইউনেস্কো ভারতের ভাষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, এবং একই সঙ্গে জানিয়েছে, মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত"।
মন্ত্রীর কথায়," আমেরিকা, জাপান, ইজরায়েল, জার্মানি, সমস্ত উন্নত দেশে শিক্ষার মাধ্যম কি? তাদের মাতৃভাষা। আমরা কোন ভাষার বিরোধী নই, ইংরেজি ও শিখুন, কিন্তু আমাদের উচিত শিশু এবং তার প্রতিভার প্রতি ন্যায়বিচার করা। যখন আমরা আমাদের আলোচনা সম্পন্ন করি, (আমরা দেখেছি) যারা সারা জীবন শিক্ষা ক্ষেত্রে কাটিয়েছেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে যদি আপনাকে একটি শিশুর প্রতিভা অর্জন করতে হয়, তাহলে তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক লেখাপড়া পরিচালনা করা উচিত। কোন রাষ্ট্র তার আঞ্চলিক ভাষা শেখাতে চায় না? আমার সন্দেহ আছে, যে এমন কোন রাষ্ট্র থাকবে না যারা তাদের ভাষাকে মেরে ফেলতে চায়। আরও দশটি ভাষা শিখলে সমস্যা কী? শিশুকালে শেখার সম্ভাবনা ও প্রবণতা অনেক থাকে"।
ই-আড্ডায় মন্ত্রী উল্লেখ করেন," হিন্দি নিয়ে দক্ষিণের রাজ্যগুলির ত্রিভাষা তত্ত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালকে অভিনন্দন জানিয়েছিল, তারা বিশ্বাস করেন যে মন্ত্রী কোন রাজ্যের উপর কোন ভাষা চাপিয়ে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী সর্বক্ষেত্রে ঘোষণা করেছেন, আমাদের ২২টি আঞ্চলিক ভাষাকে শক্তিশালী করতে হবে। সে গুলির মধ্যে থাকছে, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড় বা গুজরাটি, মারাঠি, বাংলা, ওড়িয়া, উর্দু, সংস্কৃত, হিন্দি"।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন," আপনার সন্তানদের ছেড়ে দিন, কেন আপনি তাদের সীমাবদ্ধ করতে চান? তাদের দশটা ভাষা শিখতে দেওয়া উচিত। ভারতীয় ভাষা শেখার প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। যারা তামিল শিখছে, তারা তেলুগু, মালয়ালম, যে কোন ভারতীয় ভাষা নিতে পারে। উত্তরপ্রদেশের মানুষ মারাঠি নিতে পারেন। আর একটা ভারতীয় ভাষা শিখলে সমস্যা কেন হবে ? শিশুর হাতে ছেড়ে দিন- তাকে তার চাহিদা মত ভাষা শিখতে দিন"।
Read the full interview in English