Advertisment

স্কুলছুট পড়ুয়াদের নিয়ে বড় ঘোষণা শিক্ষা দফতরের, নির্দেশিকা জারি জেলাস্তরেও

জেলা আধিকারিকদের তাৎক্ষনিক কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
drop out students education

রাজ্য সরকারের তরফে জারি নির্দেশিকা

করোনার প্রভাবে রাজ্যে এবং দেশজুড়ে শিক্ষার অবস্থা সংকটজনক। লাগাতার অনলাইন ক্লাস এবং শিক্ষাঙ্গনের দরজা বন্ধ থাকার জেরে পড়াশোনা বন্ধ করেছেন বহু পড়ুয়ারা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফেও জারি করা হয়েছে নোটিশ। বিশেষ করে জেলার স্তরে ছাত্রদের কারা কারা ড্রপ আউট করেছে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জানানো হয়েছে।

Advertisment

অফিসিয়াল নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, জেলার শিক্ষা অধিকারকরা যেন এই বিষয়ে নজর দেন। রাজ্যের ড্রপ আউট ছাত্রদের চিহ্নিত করা অবশ্যই দরকার। সেই নির্দেশিকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জেলা রেজিস্ট্রার, অঙ্গন্বারি কেন্দ্র থেকে শুরু করে হেলথ এবং স্কুলের রেজিস্ট্রার থেকে এই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন ছাত্ররা পড়বে এই আওতায়?

  • যারা একনাগারে ৩০ দিন স্কুলে উপস্থিত থাকে নি, তাদের ড্রপ আউট হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।
  • ছয় থেকে চোদ্দ বছর বয়সের কোনও ছেলেমেয়ে যদি স্কুলে কিংবা প্রাথমিক স্কুলে কখনই নিজেকে ভর্তি না করে থাকে অথবা ভর্তি হওয়ার পরেও ৩০ দিন কিংবা তার বেশি দিন অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ড্রপ আউট বলে ধরে নেওয়া হবে।
  • RTE ACT ২০০৯ অনুযায়ী নির্দেশিত শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ না নিলেও সেই শিশু ড্রপআউট।
  • যারা নির্দেশিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অংশ নিয়েছে তারাও যদি অন্তত ৮ বছরের শিক্ষা সম্পূর্ন না করে তবে তাকেও স্কুলের বাইরে ধরা হবে।
  • ১৪ বছরের ওপরের শিশুরা যারা কোনও কারণে, মহামারীর কারণে কিংবা আর্থিক অসুবিধার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে তাদের ড্রপআউট ধরে নেওয়া হবে।
publive-image

নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে সেইসব পড়ুয়াদের অভিভাবককে এই নিয়ে আগে থেকে জানাতে হবে। শিশুটিকে চিহ্নিত করা হলে সমস্ত তথ্যের নিরিখে বিচার করা হবে।

কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে?

জেলা আধিকারিকের তরফে, সম্পূর্ন অ্যাকশন নিতে হবে। যে স্কুল থেকে ছাত্ররা ড্রপআউট হয়েছে সেখানে তাকে আবারও ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি কিংবা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল অথবা বেসরকারি স্কুল - যাই হোক না কেন জেলা আধিকারিককে নির্দিষ্ট স্কুলে বয়স অনুযায়ী সেই ছাত্রকে ক্লাসে ভর্তি করতে হবে।

যাদের অভিভাবক করোনা মহামারীতে মারা গিয়েছেন কিংবা বাড়ির রোজগেরে সদস্য যদি বেচেঁ না থাকেন তবে নোডাল অফিসার যেন সেই শিশুকে ফের স্কুলে ফেরত নিয়ে আসেন।

যে পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন তাদের তাৎক্ষণিক ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসারের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। স্কলারশিপ থেকে এনজিও ইত্যাদির সুবিধা দিতে হবে।

students West Bengal school education
Advertisment