স্নাতক স্তরে কেন্দ্র রাজ্য বিবাদ অতীত। জাতীয় শিক্ষানীতির পথেই হাঁটল রাজ্য। স্নাতক স্তরে ৪ বছরের পঠন পাঠনের ঘোষণা করলেন ব্রাত্য বসু।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সদ্যই প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। ফলেই এখন ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে জোরকদমে। তাঁর মধ্যেই এই ঘোষণা রাজ্য সরকারের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কথায়...
"আমরা স্নাতকস্তরে ৪বছরের পঠন পাঠন শুরু করতে চলেছি। যে ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে চলেছে স্নাতক স্তরে, তাদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের সর্বভারতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। বাইরে পড়তে যাওয়ার একটা প্রবণতা সেটা কমবে।" এখনই কেন্দ্রীয়ভাবে কলেজে ভর্তির কথা বলা না হলেও তিনি জানান, "কলেজগুলো ভর্তির প্রক্রিয়া আলাদাভাবে করবে। আমরা চেষ্টা করব, যদি সম্ভব হয় তবে, এবছরই এই ব্যবস্থাটি শুরু করব।"
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ২০২০ সালে বেশ কিছু বদল এসেছিল, সেগুলো কী কী?
- স্নাতক স্তরে কোর্স হবে ৪ বছর।
- স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সেটি কমে দাঁড়াবে ১ থেকে দু বছর।
- তুলে দেওয়া হয়েছে mphil কোর্স।
- কলেজগুলোতে অর্থনৈতিক স্বশাসন থাকবে।
- একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের তফাৎ থাকবে না।
যদিও, এধরনের নীতির বিরোধিতা করেছিল রাজ্য। জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে নিজেদের সিদ্ধান্তকে মেলাতেও বাঁধা দিয়েছিলেন তাঁরা। করোনা মহামারীর সময়ে এই বদল আনা হয়েছে। সংসদ ভবন যখন বন্ধ ছিল, তখন এই বদল আনা উচিত হয়নি বলেই বিরোধিতা করেছিল রাজ্য। তবে, ঐতিহাসিক এই জাতীয় শিক্ষানীতিকে এবার মান্যতা দিয়েছে রাজ্য। ভর্তির কাজ পরবর্তী নিয়ম অনুযায়ী চলবে বলেই জানিয়েছে রাজ্য।