Advertisment

সবজি বিক্রেতার মেয়ে বর্ণালির স্বপ্ন পূরণের ভার নিল ব্যাঙ্ক

উচ্চশিক্ষার খরচ টানার সামর্থ নেই বর্ণালির বাবা খগেন ঘোষের। বর্ণালির স্বপ্ন যাতে ভেঙে না যায়, সেকারণে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে এই ব্যাঙ্ক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বর্ণালির পড়াশোনার ভার নিল নবগ্রাম পিপলস কোঅপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্ক লিমিটেড। উচ্চমাধ্যমিক ফলাফলের রাতেই সংস্থাটি থেকে বর্ণালির কাছে ফোন আসে। তারা শুভেচ্ছা বার্তার সঙ্গে জীবনের পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাওয়ার ভরসা জোগায়।

Advertisment

উচ্চশিক্ষার খরচ টানার সামর্থ নেই বর্ণালির বাবা খগেন ঘোষের। বর্ণালির স্বপ্ন যাতে ভেঙে না যায়, সেকারণে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে এই ব্যাঙ্ক। এখনই কত টাকা দিয়ে বর্ণালিকে সাহায্য করবে সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। বর্ণালি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানায় সে 'ডাক্তার হতে চাই। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, খরচের কথা জানাবে বলেছে নবগ্রাম পিউপিলস কোঅপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের কর্মকর্তারা।   যদি ডাক্তারি পরীক্ষার প্রবেশিকায় ভালো ফল না করতে পারি, তবে ইঞ্জিনিয়ারিংও পড়তে পারি'।

আরও পড়ুন: স্বপ্ন হল সত্যি, আলু-পিঁয়াজের রোজনামচা থেকে বেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় বর্ণালি

বর্ণালির পড়াশুনার জন্য কোনো বাধা ধরা সময় ছিল না। অভাব অনটনে মোড়া জীবনেও স্বপ্ন দেখেছে বর্ণালি। মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থানে জ্বলজ্বল করছে তার নাম। উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে সে। প্রাপ্ত নম্বর ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৪।

বর্ণালির বাবার সঙ্গে কথা বলেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। গর্বিত খগেনবাবু বললেন, “রেল লাইনের ধারে আলু পিঁয়াজের ব্যবসা। আর্থিক অনটনে দিন কাটে। সেখানে দাঁড়িয়ে মেয়েকে নিয়ে কতটা গর্ব হচ্ছে তা আর বলে বোঝাতে পারব না, শুধু আমার গর্বের দিন নয় , গোটা পাড়া গর্ব করছে ওর জন্য। পাশাপাশি সুনামও হচ্ছে স্কুলের। বর্ণালির সাফল্যে আমরা সকলে খুব খুশি, শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন না থাকায়, মেয়ের পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোনোরকম দেখভাল করতে পারিনি আমরা। তবে ওর শিক্ষিকাদের অশেষ ধন্যবাদ, তাঁরা আমার মেয়েকে সবদিক দিয়ে সাহায্য করেছে। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় আজ এই জায়গায় বর্ণালি। কতটা খুশি বলে বোঝাতে পারব না”।

HS result
Advertisment